গুরুদাসপুরে ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী-পরাজিত প্রার্থীর সংঘর্ষ, ভাংচুর ও লুটপাট

গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি: সর্বশেষ ধাপে অনুষ্টিত ইউপি নির্বাচনের ২০ দিন পর নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নে সরকার দলীয় বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর কর্মি সমর্থকদের মধ্যে বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শি ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ধারাবারিষা ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি সোলায়মান আলী বিশ্বাস আ’লীগ দলীয় প্রার্থী আব্দুল মতিনকে সমর্থন করায় প্রতিপক্ষ সরকার দলীয় পরাজিত বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মন্ডল মেহেদী হাসানের কর্মি সমর্থকরা গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ৬ টার দিকে ওই ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতির ধারাবারিষা পুরাতন বাজারের অফিস ভাংচুর করে ও আব্দুল মতিনের সমর্থক আব্দুর রহমানের গোয়াল ঘর থেকে জোরপূর্বক গরু ছিনতাই সহ তার স্ত্রীকে লাঞ্চিত করে এবং শফির মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
তাৎক্ষনিক মতিন চেয়ারম্যানের সমর্থকরা ওই দিনই রাত সাড়ে ৮টার দিকে মেহেদী হাসানের সমর্থক উদবাড়িয়ার তহিদুল, তয়েজ উদ্দিন, রঞ্জু, জিয়া, মজিদ ও শাহিনের বাড়িঘর ভংচুর ও লুটপাট করে।
এ ব্যাপারে পরাজিত বিদ্রোহী প্রার্থী ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান বলেন, মতিন চেয়ারম্যানের লোকজন তার ১০/১২ জন সমর্থকের বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও মারপিট করায় আমার সমস্ত কর্মি সমর্থকরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আছে। আমি এর প্রতিকার দাবী করছি।
অপরদিকে চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, আমার সমর্থকদের মারপিট, বাড়িঘর ভাংচুর, গরু ও মোটরসাইকেল ছিনতাই করায় তারা রাগান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ হাসানের দুই একটি বাড়ির ক্ষতিসাধন করেছে।
খবর পেয়ে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনলেও শুক্রবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং উভয়পক্ষের কর্মি সমর্থকদের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে আছে।

Comments (0)
Add Comment