ডেস্ক রিপোর্ট:
গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা এবং হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী মারজানের পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, মারজান নামে সন্দেহভাজন এই যুবকের পৈতৃক বাড়ি পাবনার হেমায়েতপুরের একটি গ্রামে। তার পুরো নাম নুরুল ইসলাম মারজান।
তিনি জানান, “মারজান নামে এক ব্যক্তির কথা আমাদের তদন্তে উঠে এসেছিলো গত সপ্তাহের দিকে। তখনই আমরা আমাদের ফেইসবুক পেজে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অনলাইন পোর্টালে তার ছবি দিয়ে যারা তার সম্পর্কে জানেন তাদেরকে তথ্য দেয়ার জন্য বলি। এই প্রেক্ষিতে আমরা তথ্য পেয়েছি যে তার বাড়ি পাবনা জেলাতে” তার বাবা নিজাম উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আফুরিয়া গ্রামে তার বাড়ি। এ বছরের জানুয়ারি মাসে বাড়ি গিয়ে বিয়ে করেছেন এবং তার পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ছাত্র বলেও জানা যাচ্ছে। জুলাই মাসের এক তারিখের ঐ হামলায় ১৭ জন বিদেশি ও দুজন পুলিশ কর্মকর্তা সহ ২২ জন নিহত হন।
পুলিশ জানায়, গুলশান হামলার ছবি পাওয়ার পর মারজান তা বিশেষ অ্যাপসের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করে। নিউ জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ নেতা মারজান সংগঠনের প্রচার বিভাগের দায়িত্বও পালন করে আসছে। হামলার পর পরই জিম্মিদের গুলিবিদ্ধ ছবি বিশেষ অ্যাপসে মারজানের কাছে পাঠানো হয় হলি আর্টিজানের ভেতর থেকে। তখন মারজান জঙ্গিদের নির্দেশ দেয় প্রত্যেককে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করতে। এরপর জিম্মিদের গুলি করার পাশাপাশি গলা ও পেট কাটা শুরু করে জঙ্গিরা। সেই ছবি আবার তার কাছে পাঠায়। তা দেখে প্রশংসা করে মারজান।
মারজান বিভিন্ন সময় জঙ্গিদের মোটিভেশন করার কাজও করত। টার্গেট ব্যক্তিদের খুন করলে যে সহজে জান্নাতে যাওয়া যাবে এই ধারণা দিয়ে তাদের মগজ ধোলাইয়ের কাজও করত সে।