এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্র জানায়, পাচঁ বছর পূর্বে দ্বিতীয় বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকেই রুমা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। কিছুদিন ভালো থাকলে আবার কিছুদিন অর্ধ উম্মাদের মতো আচরন করেন। অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের মারধর করা ছাড়াও নিজের জামা কাপড় ছিড়ে ফেলেন। কখনো নিজের চুল কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে দেন। রুমার জঙ্গি সম্পৃক্ততা পরিবারের সদস্যরা বিশ্বাস না করলেও উপযুক্ত প্রমান পাওয়া গেলে শাস্তি দাবী করেন তারাও।
গত বুধবার গভীর রাতে শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের চরখুপি গ্রাম থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে রুমা বেগমকে আটক করেন।
রুমার বাবা জানান, অর্ধ পাগল রুমা’র জঙ্গি সম্পৃক্ততার প্রমান পাওয়া গেলে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে উপযুক্ত শাস্তি চাই।
রুমার বোন সাবিনা বেগম জানান, গুলশান হামলার সময় আমার বোন ঐ এলাকায় ফুটপাতে বসে চা খাচ্ছিল। সাধারণ মানুষের মতো সেও সেখানে দাড়িয়ে ছিল। আমার বোন জঙ্গি হলে তার আইনগত শাস্তি আমরা চাই। সঠিক প্রমাণ না পাওয়া গেলে তাকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়।
এব্যাপারে শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ইমাম হোসেন জানান, রুমা বেগমকে গত বৃহস্পতিবারই চরখুপি গ্রাম থেকে ঢাকার ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে সরাসরি ঢাকায় নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই।