মোঃ খালেদুর রহমান , ব্যুরো প্রধান ফরিদপুর ঃ র্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল মেজর আব্দুল্লাহ আল হাসান এর নেতৃত্বে ১৯-০৫-১৬ ইং তারিখ ০১১০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট থানাধীন দৌলতদিয়া পতিতালয়ের পাশে বসবাসকারী লায়লা বেগম এর ঘরে তল্লাশী করে ৫জন মেয়েকে উদ্ধার করে এবং উক্ত লায়লা বেগমকে আটক করে। উদ্ধারকৃত মেয়েদের বয়স ১৩ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা বিভিন্ন ভাবে অপহরনকারী/প্রতারক চক্রের মাধ্যমে অপহৃত/প্রতারিত হয়ে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট থানাধীন দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীর পাশে কথিত লায়লা বেগম এর হাতে এসে পড়ে। আরো জানা যায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অপহৃত/প্রতারিত হয়ে আসা এ সকল কিশোরী মেয়েদের কে গত দুমাস যাবত উক্ত বাড়িতে আটকে রাখে এবং দালাল চক্রের সদস্যগণ তাদের না খাইয়ে রেখে এবং শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক গোয়ালন্দঘাট পতিতালয়ে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করে। ধৃত আসামী লায়লা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান হতে অপহনকারী/প্রতারক চক্রের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে পতিতাবৃত্তির কাজ করানোর জন্য উক্ত মেয়েদেরকে ক্রয় করে। তাদের পূর্ণ নামঃ ও ঠিকানাঃ ১। মুন্নি(১৩), পিতাঃ মোঃ মুজমুল, মাতাঃ হেনা, গ্রামঃ কোট মনথোনা, থানাঃ ও জেলাঃ রংপুর, ২। স্মৃতি আক্তার(১৬), পিতাঃ মৃত কাদের বিশ্বাস, গ্রামঃ হরিরামপুর, থানাঃ হরিরামপুর, জেলাঃ মানিকগঞ্জ, ৩। ফাতেমা আক্তার (১৩), পিতাঃ মৃত আবুল হাসেম, মাতাঃ আছিয়া, ৪। সুরমা (১), পিতাঃ বিল্লাল, গ্রাম সাহাবাজপুর (মোল্লাপাড়া), থানাঃ বিজয় নগর, জেলাঃ কুমিল্লা, ৫। তামান্না আক্তার (১৫), পিতাঃ মিঠু মোললা, মাতাঃ রাজিয়া, গ্রামঃ বেতগ্রাম কাঠের বাজার, থানাঃ ও জেলাঃ গোপালগঞ্জ। উদ্ধারকৃত ০৫জন মেয়েকে তাদের অভিভাবকের নিকট হস্তান্তরের জন্য রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাদিনীসহ প্রেরণ করা হয়। গোয়ালন্দঘাট থানার মামলা নম্বর-১৪, তারিখঃ-২০-০৫-২০১৬ইং।