সিআইডি জজ মিয়ার পরিবারের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ১০২তম সাক্ষী হিসেবে জজ মিয়ার মা জোবেদা খাতুন এ কথা বলেছেন। জজ মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর সিআইডির লোকেরা নিয়মিত টাকা দিত তাদেরকে। তখন বলা হয়েছিল জজ মিয়াকে এ মামলায় রাজসাক্ষী করা হবে। কিন্তু তাকে ফাঁসিয়ে দিয়ে ভুয়া গ্রেনেড হামলাকারী বানানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তারের পর সিআইডির কর্মকর্তারা বলেছিলেন জজ মিয়াকে কয়েক মাসের মধ্যে মুক্তি দেয়া হবে এবং পরে যদি কোনো ঝামেলা হয় তা হলে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হবে। সিআইডির কর্মকর্তারা কোনো কথাই রাখেনি। ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে বিশেষ জজ আদালত-১ শাহ নূরউদ্দিনের এজলাশে জোবেদা খাতুনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। আগামী বুধবার আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করবেন। ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে নৃশংস এই হামলায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে রক্ষা পান। তবে একটি কানের শ্রবণশক্তি হারান তিনি। প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন ওই হামলায়। আহত হন তিন শতাধিক নেতাকর্মী। জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ (হুজি) নৃশংসভাবে এই হত্যাযজ্ঞ চালায়। এ সময় বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট ছিল ক্ষমতায়। অভিযোগ রয়েছে, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের গোপন ইন্ধন ছিল এ হত্যাযজ্ঞে। মামলার তদন্তের নামে জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে ঘটনাটি ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চারদলীয় জোট সরকার। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করার পর নতুন করে এ মামলার তদন্ত হয়। ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিনপির কয়েক নেতাকে এ মামলার চার্জশিটে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।