অন্যান্য ডেস্ক:
বয়স হলে চেহারায় সেটার ছাপ পড়বে এটা আমরা সবাই জানি। এবং হ্যাঁ, ত্রিশের পর থেকেই ত্বকে শুরু হয়ে যায় বলিরেখা পড়া। এই বয়সের ছাপকে দূরে রাখতে না জানি কত কিছু করেন আপনি। পার্লারে ফেসিয়াল, নানান রকমের অ্যান্টি রিংকেল ক্রিমের ব্যবহার, কত রকম রূপচর্চা। কিন্তু জানেন কি, ফেসিয়াল কিংবা অ্যান্টি রিংকেল ক্রিমে আসলে কোন উপকারই হয় না? এরা সাময়িকভাবে চেহারা টানটান করলে তুললেও আসলে বলিরেখার হারকে ক্রমশ ত্বরান্বিত করে? তাহলে কী করবেন? আপনার সমস্যার আছে খুব সহজ সমাধান। নামী-দামী ক্রিমের ব্যবহার আর নয়, এবার ঘরেই তৈরি করে নিন বলিরেখা তৈরি করার বিশেষ অ্যান্টি রিংকেল ক্রিম। ডিম, বাদাম তেল, মধু ইত্যাদি প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি হয় বলে শতভাগ নিরাপদ এই ক্রিম। এবং মাত্র ৭দিন ব্যবহারেই দারুণ ফল পাবেন। নিজেকে মনে হবে অনেকগুলো বছর তরুণ। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক থাকবে টানটান ও মসৃণ। আসুন, জানি সেই ক্রিম তৈরি গোপন সূত্র। মনে রাখবেন, প্রত্যেকটা উপাদান সঠিক মাপে নেবেন। পরিমাণটা এখানে খুব জরুরী।
যা লাগবে-
১ টি ডিমের কুসুম (দেশি মুরগির ডিম হলে খুব ভালো)
২ টেবিল চামচ কাঠ বাদাম তেল (ধষসড়হফ ড়রষ)
১/২ টেবিল চামচ মধু
২ টেবিল চামচ মেডিকেল ভ্যাসেলিন (বড় ফার্মেসিতে খোঁজ করলেই পাবেন)
খাঁটি গোলাপ জল ১ টেবিল চামচ
যেভাবে তৈরি করবেন-
-একটি হাঁড়িতে পানি ফুটতে দিন। পানি ভালো করে ফুটে উঠলে হাঁড়ির মুখে একটি স্টিলের পাত্র বসান। সেই পাত্রের মাঝে ভ্যাসেলিন দিন।
-নেড়ে নেড়ে ভ্যাসেলিন গলান, কয়েক মিনিটের মাঝে গলে যাবে।
-এবার পাত্রটি নামিয়ে তাতে বাকি সব উপাদান মিশিয়ে দিন। খুব ভালো ভাবে নাড়–ন যতক্ষণ পর্যন্ত না মোলায়েম ক্রিম তৈরি হয়।
-ক্রিম ঠাণ্ডা হলে পরিষ্কার কাঁচের পাত্রে ভরে ফ্রিজে রাখুন।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
ঘুমাতে যাওয়ার ঘণ্টা দুয়েক আগে মুখ ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। তারপর সেই পরিষ্কার মুখে ক্রিম লাগান। আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন ৫ মিনিট। তারপর ৩০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর ভেজা তুলো দিয়ে মুখ ভালো করে মুছে নিন। এরপর আর সকাল পর্যন্ত মুখ ধোবেন না বা মুখে কিছু মাখবেন না।
বিশেষ সতর্কতা
-ক্রিম অবশ্যই ফ্রিজে রাখতে হবে।
-ধাতব বক্সে সংরক্ষণ করবেন না।
-যে পরিমাণ দেয়া আছে , একবারে সেই পরিমাণ ক্রিমই তৈরি করুন। কখনো এর চাইতে বেশি তৈরি করবেন না।