ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: সেচ সংযোগ প্রদান ও নতুন বৈদুতিক লাইন নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে বরাখাস্ত হয়েছেন ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের এলাকা পরিচালক মো. ওয়ালিদ হোসন। তিনি ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের ২ নং এলাকার এলাকা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম মোঃ এমরুল হাসান মাসুদ জানান, সমিতি বোর্ড এলাকা পরিচালক ওয়ালিদের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিত্বে আরবিট্রেশন কমিটি দিয়ে তদন্ত করে। কমিটি ওয়ালিদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সত্য বলে প্রমান পায়। গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ওয়ালিদ সমিতি বোর্ডকে বিতর্কিত করায় সমিতি বোর্ডের চেয়ারম্যানের অনুমোদন ক্রমে তাকে ১৪৪ নং স্মারকে অপসারন করা হয়। ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম যুবরাজ চন্দ্র পাল জানান, এলাকা পরিচালক (মহেশপুর এলকা) নির্বাচিত হওয়ার পর মোঃ ওয়ালিদ হোসন এলাকার মানুষের কাছ থেকে সেচ সংযোগ প্রদান ও নতুন বৈদুতিক লাইন নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা আদায় করতেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রমানিত হয়। এজিএম আরো জানান, এলাকার মানুষ এ নিয়ে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সিমিতে লিখিত অভিযোগ দেয়। দুর্নীতির সপক্ষে অডিও রেকর্ড রয়েছে। ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আইন উপদেষ্টা এড আবু তালেব জানান, এলাকা পরিচালক থেকে অপসারিত হওয়ার পর ওয়ালিদ উচ্চ আদালতে আপীল করেন। উচ্চ আদালত ওয়ালিদের অপসারণের আদেশ স্থগিত করে রায় দেন। অথচ এই মামলার বিষয়ে সমিতি বোর্ড কিছুই জানে না। নোটিশ বা তথ্য গোপন করে ওয়ালিদ এক তরফা আদেশ নিয়ে গত ৪ এপ্রিল তাকে সপদে বহালের আবেদন করেন। তিনি আরো জানান, সমিতি বোর্ডের আইন উপদেষ্টা ব্যারিষ্টার শেখ মোঃ জাকির হোসেন সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট ডিভিশনে ওয়ালিদের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে সেটাও স্থগিত হয়ে যায়। ফলে সিমিত বোর্ডের সিদ্ধান্তই এখন বহাল রয়েছে।