চট্রগ্রাম ব্যুরো: নগরীর বায়েজীদ থানার শেরশাহ এলাকায় দুই পরাজিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদ্য নির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী মেহেদী হাসান বাদল এবং ইলিয়াস গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ পুলিশ সদস্যরা হলেন— বায়েজিদ থানার এসআই সায়েম, এএসআই সঞ্জীব ও কনস্টেবল মানিক।
পুলিশ জানায়, সিটি নির্বাচনে ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থক কাউন্সিলর প্রার্থী ফরিদ আহমদ চৌধুরীর পক্ষে কাজ করেন মেহেদী হাসান বাদল। অন্যদিকে ইলিয়াস ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও নির্বাচনে তার ভাই বিএনপি সমর্থক কাউন্সিলর প্রার্থী মাহবুব আলমের পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচনে ফরিদ এবং মাহবুব উভয়েই পরাজিত হন। গত কয়েকদিন ধরে এ নিয়ে শেরশাহ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। উভয় পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল ও জাল ভোটের অভিযোগ আনে। বিরোধের জের ধরে গত বুধবার রাতে মেহেদী হাসানের বাসায় দুর্বৃত্তরা ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দিলেও পুলিশের হস্তক্ষেপের কারণে বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষ হয়নি।
হামলার প্রতিশোধ নিতে বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে মেহেদী হাসানের কয়েকশ অনুসারী একত্রিত হয়ে মাহবুব আলমের বাসায় হামলা করতে যায়। খবর পেয়ে মাহবুব আলমের অনুসারীরা উপস্থিত হলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলিবিনিময় হয়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল চন্দ্র বণিক জানান, সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। শেরশাহ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।