রুমেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লায় এক পুলিশ কর্মকর্তার ভাই ও সেখানকার এক পান দোকানদারসহ দু’জন মিলে এক তরুণীকে ধর্ষণ করার ঘটনায় অভিযুক্ত পান দোকানদার ওসমান গণি চৌধুরী প্রকাশ খসরুকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
৮ অাগষ্ট শনিবার ধর্ষিতা তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঐ ধর্ষনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে অারেক অভিযুক্ত অাসামী পুলিশ কর্মকর্তার ভাই মোঃ কুদ্দুস (৪০) কে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সে এখনও পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত কুদ্দুস সীতাকুণ্ডে একটি কারখানায় চাকুরি করেন। সে বন্দর জোনের একটি থানাতে বর্তমানে কর্মরত এক উপ-পরিদর্শকের আপন ছোট ভাই হয়। ওই উপ-পরিদর্শক এর আগে নগর গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত ছিলেন বলেও জানা যায়।
গত ৭ আগস্ট শুক্রবার গভীর রাতে এ ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে বলে ধর্ষিতা ও থানা সূত্রে জানা গেছে। পরের দিন শনিবার ধর্ষিতা তরুণী নিজেই কোতোয়ালি থানায় গিয়ে মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে খসরুকে গ্রেপ্তার করেছে।
নগরীর কোতোয়ালি থানার ওসি মো.জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, তরুণীটি বলছে যে, তাকে সেখানে চাকুরি দেয়ার কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অথচ খোঁজ নিয়ে পাওয়া গেছে ভিন্ন রকমের তথ্য। সেই তরুণী নাকি স্বেচ্ছায় সেখানে গিয়েছিল। কিন্তু পরে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে। ধর্ষিতা তরুণীকে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে কোতোয়ালী থানার ওসি তদন্ত মো. নেজাম উদ্দিন জানান, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার সময় পূর্ব পরিচিত কুদ্দুস চাকুরি দেয়ার কথা বলে ওই তরুণীকে নিয়ে নগরীর পতেঙ্গা থেকে আন্দরকিল্লায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের সামনে খসরুর পানের দোকানে অনেকক্ষণ বসিয়ে রাখেন। এরপর দুইজনে মিলে ওই তরুণীকে পানের দোকানের পাশে মার্কেটের ভেতরে একটি নির্জন কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তারা দুই জনই রাতভর ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। পরদিন শনিবার সকালে ওই তরুণী তাদের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে কোতোয়ালি থানায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেন।