মাঠে খেলা নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মীদের মধ্যে গোলাগুলির পর একটি ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালায় পুলিশ। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সংঘর্ষ থামার পর রাত ৯টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হলে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌলাহবলেন, হল প্রভোস্টের উপস্থিতিতে সোহরাওয়ার্দী ছাত্রাবাসে তল্লাশি শুরু হয়েছে। “সন্ধ্যার আগে মাঠে খেলা নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে পরে দুপক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। তবে কেউ হতাহত হয়নি।“ চবি ক্যাম্পাসে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, সোহরাওয়ার্দী হলের মাঠে সন্ধ্যার আগে খেলা নিয়ে শিবির ও ছাত্রলীগের কয়েকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর শাহজালাল ছাত্রাবাস থেকে ছাত্রলীগ ও সোহরাওয়ার্দী হল থেকে শিবির অনুসারীরা গুলি করতে শুরু করে। এসময় থেমে থেমে গুলি বিনিময় চলে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৫০ রাউণ্ড গুলি বিনিময় হয়েছে। রাত ৮টার দিকে শিবিরের কিছু নেতাকর্মী আলাওল হল থেকে বেরিয়ে সড়কে অবস্থান নেয়। এসময় সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মিছিল করতে থাকে। রাত ৯টার পর তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। সোহওরাওয়ার্দী হলটি ইসলামী ছাত্র শিবির অধ্যুষিত। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের হাটহাজারী সার্কেলের এএসপি আ ফ ম নিজাম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযান চলছে। পরে এ বিষয়ে জানাবো।” এ বিষয়ে জানতে চবি শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের চবি শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির দুই সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ও আলমগীর টিপু বলেন, শিবির পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। শাহ আমানত হলের সিট বরাদ্দ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানানোয় এ হামলা করা হয়। এ বছরের ১২ জানুয়ারি চবি শাহ আমানত হলের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়। আহত হয়েছিল আরও অনেক শিক্ষার্থী। ওই ঘটনার পর শাহ আমানত হল সিলগালা করে দেয়া হয়। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পূর্বের সব সিট বাতিল করে শাহ আমানত হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং নতুন করে সিট বরাদ্দের আবেদন আহ্বান করেছে।