নিউজ ডেস্ক:
গত ৯ মাসে (চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়ার ১১০টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ২৯ জন আহত হয়েছেন। রোববার ঢাকায় রেলভবনের যমুনা সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এ তথ্য জানিয়েছেন।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়ার ১১০টি ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, এসব ঘটনায় ট্রেনের ১০৩টি জানালা ভেঙে গেছে। একইসঙ্গে ২৯ জন আহত হয়েছেন।
সারাদেশের রেলপথের মধ্যে যে জায়গাগুলোতে সবচেয়ে বেশি পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে, সেসব জায়গাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উপমহাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর (১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল) পর থেকে দুষ্কৃতিকারীরা কোনো না কোনো জায়গায় চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে আসছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অন্য দেশের (উপমহাদেশ) তুলনায় বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম না। আর স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ট্রেনে বেশ কিছু পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের হার বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়া একটি সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এ ঘটনায় যাত্রীর পাশাপাশি ট্রেনের গার্ড এবং কর্মচারীও আহত হয়েছেন। কেউ মারা গেছেন এবং চোখ হারিয়েছেন, এমন ঘটনাও ঘটেছে। এ অবস্থা থেকে আমরা পরিত্রাণ পেতে চাই।
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের আওতাধীন রেলপথের যে জায়গাগুলো থেকে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়া হয় সেগুলো ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড, চট্টগ্রামের পাহাড়তলী, নরসিংদীর নরসিংদী, ফেনীর ফাজিলপুর-কালীদহ, ঘোড়াশাল ও জিনারদী এলাকা রয়েছে।
‘পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ১০টি জেলার ১৫টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে নাটোরের আব্দুলপুর, চুয়াডাঙ্গার চুয়াডাঙ্গা আউটার, সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী রেলওয়ে স্টেশন, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশন, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার কিসমত-রুহিয়া, পাবনার মুলাডুলি, ভাঙ্গুরা ও বড়ালব্রিজ রেলওয়ে স্টেশন, বগুড়ার ভেলুরপাড়া, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর, গাইবান্ধার বামনডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, সলপ ও জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন এবং খুলনার ফুলতলা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা রয়েছে।’