চাঁদপুরের কচুয়ায় এক নীরিহ পরিবারের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের কচুয়া-কালিয়াপাড়া সড়কের পাশে নোয়াগাঁও ব্রীজ সংলগ্ন উত্তর পাশে ভাংচুর ও লুটপাটের এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল জলিলের উপস্থিতিতে প্রবাসী জাহাঙ্গীরের স্ত্রী হাসিনা বেগম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা একাজ করেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী নোয়াগাঁও গ্রামের আলাউদ্দিন বেপারী বাড়ির মৃত আব্দুল খালেকের স্বামী পরিত্যাক্তা তাহমিনা বেগম জানান, আমি নিতান্তই এক হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। স্বামী কতৃক পরিত্যাক্ত হয়ে আমার ১১ বছর বয়সি এক ছেলে ও মাকে নিয়ে নোয়াগাঁও ব্রীজ সংলগ্ন খালের উত্তর পাশে দক্ষিণ নোয়াগাঁও মৌজার ১৭শ’ দাগে আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে ঘর উঠিয়ে দীর্ঘ প্রায় ৭/৮ বছর বসবাস করে আসছি। গত বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে ৯নং কড়ইয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য আব্দুল জলিলের উপস্থিতে তার ভাই প্রবাসী জাহাঙ্গীরের স্ত্রী হাসিনা বেগম তার মদদপুষ্ট লোকজন নিয়ে আমার বসত ঘর, রান্নাঘর, ল্যাট্টিন ভাংচুর করে পাশের পুকুর ও খালে ফেলে দেয়। এছাড়া আমার টিউবওয়েল খুলে নিয়ে যায়। এসময় আমি, আমার ছেলে ও মা জান্নাতুল ফেরদাউস বাধা দিতে গেলে হাসিনার ভাড়াটিয়া লোকজনরা আমাদেরকে বেদম মারধর করে। এসময় উপয়ান্ত না পেয়ে সাহায্যের জন্য ৯৯৯ ফোন নিয়ে কচুয়া থানার এসআই আব্দুস সামাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছলে হাসিনা বেগমের ভাড়াটিয়া লোকজনরা সটকে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর আমি একটি সিএনজিযোগে থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য রওয়ানা করলে তারা সিএনজি চালকে মারধর করে ও আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে থানায় যেতে দেয়নি। বর্তমানে আমি বসতবাড়ি হারিয়ে অন্যের ঘরে থেকে মানবেতর জীবন যাপন করছি। তাছাড়া হাসিনা গংদের বিভিন্ন ভয়ভীতির মুখে সম্পূর্ন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
এ ঘটনায় ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল বলেন, তাহমিনার ঘর দরজা ভাংচুরের খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাংচুর থামাতে চেষ্টা করি।
হাসিনা বেগম বলেন, চাঁদপুর জেলা পরিষদ থেকে তাহমিনার বসত ঘর অংশের লিজ নিয়েছি। তাহমিনার কোন ঘর দরজা ভাংচুর করিনি। লিজকৃত জায়গায় তাহমিনা নতুন করে ঘর করার উদ্যোগ নিলে আমরা বাধা দিতে যাই। এতে তাহমিনা ও তার লোকজনরা আমাদেরকে মারধর শুরু করলে আমরাও পাল্টা মারধর করি। এদিকে তাহমিনা দাবী করছেন, তার বসত ঘর ১৭শ’ দাগে। হাসিনা গংরা লিজ নিয়েছে ১৩শ’ ৯৯ দাগে।
এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কচুয়া থানার এসআই আব্দুস সামাদ জানান, ভাংচুরের ঘটনা আমি প্রত্যক্ষ করেছি। উভয়পক্ষকে থানায় আসার জন্য বলে এসেছি।