চাঁদের সাথে ঘুমের কি সম্পর্ক!

কখনো পূর্ণিমার রাত্রে নিজের মাঝে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন কি? ভূতুড়ে কোনো পরিবর্তন নয়, বরং আপনার ঘুমের মাঝে কিছু পরিবর্তন আসে। অমাবস্যা হোক বা পূর্ণিমা, আপনার ঘুমের ওপরে প্রভাব বিস্তার করে চাঁদ। সুইডেনের ইউনিভার্সিটি অফ গুটেনবার্গের এক নতুন গবেষণায় ঘুমের প্রকৃতি এবং চাঁদের বিভিন্ন অবস্থার মাঝে খুঁজে পাওয়া গেছে যোগসূত্র। বিশেষ করে পূর্ণিমার প্রভাব এক্ষেত্রে অনেক বেশি। এই গবেষণায় ৪৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। পূর্ণিমার সময়ে গড়ে ২৫ মিনিট করে ঘুম কম হয়ে থাকে তাদের। এ ছাড়াও ছাড়া ছাড়াভাবে ঘুম হবার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। অমাবস্যার সময়ে এসব মানুষেরা ঘুমের জঊগ পর্যায়ে ৩০ মিনিট বেশি থাকেন। এই গবেষণা চলাকালীন সময়ে তারা এমন স্থানে ঘুমান যেখানে চাঁদের আলো আসতে পারে না। তাই এমনটা দাবি করা যাবে না যে চাঁদের আলোয় তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। গত বছরে সুইডেনের আরো একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছিলো যে পূর্ণিমা এবং এর আগে-পরের দিনগুলোতে ঘুমের পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। এ সময়ে ঘুমিয়ে পড়ার জন্যেও একটু বেশি সময় লাগে তাদের। এ ছাড়া ব্রেইন ওয়েভ পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় এ সময়ে গভীর ঘুমের সাথে সম্পর্কিত ডেল্টা ওয়েভ কমে যায় ৩০ শতাংশ। তবে এমনও কিছু গবেষণা আছে যেখানে ঘুম এবং চাঁদের মাঝে কোনো সম্পর্কই খুঁজে পাওয়া যায়নি। মিউনিখের ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইন্সটিটিউট অফ সাইকিয়াট্রি একই ধরণের একটি গবেষণা করে। সেখানে ১,২৬৫ জন অংশগ্রহণকারীর প্রায় দুই হাজার রাত্রির ঘুম পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং সেখানে ঘুম এবং চাঁদের অবস্থার মাঝে কোনো পারস্পরিক সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায় না। বিভিন্ন গবেষণায় বিভিন্ন ফলাফল পাবার কারণে একেবারে নিশ্চিত হয়ে বলা যায় না যে ঘুমের ওপরে চাঁদের কোনো প্রভাব আছে কি নেই। তবে আমাদের জীবনের বিভিন্ন দিকের ওপর চাঁদের প্রভাব নিয়ে যা আরও গবেষণা চলবে, তা বলা যায় নিঃসন্দেহে।

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/এ

Comments (0)
Add Comment