নিউজ ডেস্ক:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারায়ণপুরে বর আনতে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ছয়জন।
আজ বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার পাকা ইউনিয়ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাকিব আল রাব্বি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, মৃত ও আহত সকলেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে পাঁচজন নারী রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, পদ্মা নদী পার হয়ে ২৩ জনের একটি দল শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ইউনিয়নে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। পথে বৃষ্টি শুরু হলে তারা টেলিখারি এলাকায় নেমে একটি চালার নিচে অপেক্ষা করছিলেন। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই ১৭ জনের মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর বজ্রপাতের পরিমাণ ও এতে হতাহতের ঘটনা বাড়ছে বলে জানিয়ে আসছে। বাংলাদেশের জাতীয় দুর্যোগের তালিকায় ২০১৬ সালের ১৭ই মে বজ্রপাত অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৭ বছরে বাংলাদেশে বজ্রপাতে সারাদেশে ১৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিপুল সংখ্যক গবাদি পশু মারা গেছে।
আবহাওয়াবিদদের পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে উত্তরাঞ্চল এবং উত্তর পশ্চিমাঞ্চল বজ্রপাত-প্রবণ এলাকাগুলোর অন্যতম। গ্রীষ্মকালে এ অঞ্চলে তাপমাত্রা বেশি থাকায় এ পরিস্থিতির তৈরি হয় বলে তারা বলছেন।
বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি ঠেকানোর লক্ষ্যে দেশবাসীকে আগাম সতর্কবার্তা দিতে দেশের ৮টি স্থানে পরীক্ষামূলক ভাবে বজ্রপাত চিহ্নিতকরণ যন্ত্র বা লাইটনিং ডিটেকটিভ সেন্সর বসিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
ঢাকায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ছাড়াও ময়মনসিংহ, সিলেট, পঞ্চগড়, নওগাঁ, খুলনা পটুয়াখালী এবং চট্টগ্রামে এই সেন্সর বসানো হয়েছে।