বিডিপি ডেস্ক:
রাতের আধারে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতেই লুকিয়ে ট্রাক,পিকাপভ্যানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শহর মুখী হচ্ছে কর্মজীবি মানুষ। এমই দৃশ্য’র দেখে মিলেছে শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুর জেলায়। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এসব ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনে চড়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিতে ব্যস্ত হয়ে পরেছে যাত্রীরা। রাস্তায় গণপরিবহন না থাকায় ও যাত্রীর তুলনায় অন্যন্যা যানবাহন কম থাকার কারণেই মাইলের পর মাইল রাস্তা হেঁটেই পারি দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের অষ্টম দিনে ৩০ জুলাই রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আর এতেই, শহরমুখী হতে শুরু করেছে কর্মজীবিরা। কোন প্রকার বাঁধাকে তোয়াক্কা না করেই শিল্প নগরী গাজীপুরে প্রবেশ করেছেন শ্রমিকরা। যদিও শিল্প এলাকায় অবস্থানরত শ্রমিকদের নিয়ে কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা।
গ্রাম ফেরত একজন জানান, গাজীপুর মহানগরের বড়বাড়ি নামক স্থানের একটি গার্মেন্টসে প্রায় ৮ বছর যাবত চাকরি করে আসছেন তিনি। ঈদে বাড়িতে গিয়ে লকডাউনের কারণে আটকে পরেন। গার্মেন্টস খোলার খবর শুনে, চাকরীচ্যুতের ভয়ে কঠিন পথযুদ্ধ করে নাটোর থেকে গাজীপুর প্রায় দুই’শো কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে নিজ কর্মস্থল জেলায় ফিরেছেন। স্বপরিবার নিয়ে ফেরার পথে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়ে তাকে।
তিনি জানান, ট্র্যাক, পিকাপভ্যান, অটোরিকশা, সিএজি, ভ্যানগাড়িতে নিয়মিত ভাড়ার চেয়েও ৩-৪ গুণ বেশি ভাড়া গুনতে হয়েছে। পুলিশের চেকপোস্টের কারণে, স্ত্রী-সন্তান আর মাথায় ব্যাগ নিয়ে মাইলের পর মাইল হেটেই রাস্তা পারি দিতে হয়েছে বলেও জানান, এই গার্মেন্টস শ্রমিক।