আগ্নেয়গিরির চারপাশের ২০ কিলোমিটার এলাকা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ এবং লানকুইহু প্রদেশ ও পুয়ের্তো অকটাই শহরের সাময়িক নিয়ন্ত্রণ নিতে ওই এলাকায় সেনাসদস্য পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র খবরে বলা হয়েছে, পার্শ্ববর্তী দেশ আর্জেন্টিনায়ও জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আর্জেন্টিনার বারিলচি শহর আগ্নেয়গিরি থেকে ১শ’ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে এই নগরীতে ছাইভস্ম এসে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এজন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরের মধ্যে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
চিলির বৃহত্তম নগরী পুয়ের্তো মন্ট ইতোমধ্যে কালো মেঘে ছেয়ে গেছে। নগরীর মেয়র গার্ভয় পারেদেস বলেন, ‘লোকজন খুবই ভয়ের মধ্যে রয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি কিছুটা জটিল।’ তিনি আরো বলেন, অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বরফ গলে যাওয়ার কারণে ব্লানকো নদী উপচে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।কালবাকোর জ্বালামুখ দিয়ে ছাই নির্গত হওয়ার কারণে দেশটিতে বিমান চলাচল বাতিল করা হয়েছে। ওই এলাকায় স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, পুয়ের্তো মন্ট নগরীতে রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে এবং গ্যাস স্টেশনগুলোতে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে গেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রডরিগো পিনালিল্লো বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের শান্ত ও ঘরে থাকার আহবান জানানো হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং পুলিশ সেই মোতাবেক কাজ শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ওই এলাকা থেকে প্রাথমিকভাবে ২৭০ পরিবারকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে আরো লোককে সরিয়ে নেয়া হবে।দুর্গত এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে স্থানীয়দের আহবান জানিয়েছে পুলিশ।কালবাকো আগ্নেয়গিরি ৪৩ বছর সুপ্ত অবস্থায় ছিল।
ন্যাশনাল জিওলজি অ্যান্ড মাইন সার্ভিসের অগ্ন্যুৎপাতবিদ গাবরিয়েল ওরোজকো বলেন, কালবাকো আগ্নেয়গিরি থেকে ব্যাপক উদগিরণ হচ্ছে। দুই হাজার মিটার উঁচু এ আগ্নেয়গিরি লস লাগোস অঞ্চলে অবস্থিত। এটি রাজধানী সান্টিয়াগোর এক হাজার ৪শ’ কিলোমিটার দক্ষিণে। বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় আগ্নেয়গিরি থেকে উদগিরণ হতে শুরু করে। তবে এখন পর্যন্ত কোন লাভা উপচে পড়তে দেখা যায়নি। চিলিতে ৯০ টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এর মধ্যে কালবাকোকে অন্যতম সর্বোচ্চ বিপজ্জনক বলে বিবেচনা করা হয়।