ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে নিহত ৮৭৫, গুলিতে মৃত্যু বেশি: এইচআরএসএসের প্রতিবেদন

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ১৬ জুলাই থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৮৭৫ জন হিসেবে জানিয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ মৃত্যুর কারণ গুলিবিদ্ধ হওয়া। ১৮ থেকে ২০ জুলাই এবং ৪ থেকে ৭ আগস্ট—এই সাত দিনেই নিহত হয়েছেন ৭৪৮ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ।

এইচআরএসএস আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। ১২টি জাতীয় দৈনিক, এইচআরএসএসের তথ্য অনুসন্ধানী ইউনিট ও সারা দেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা এক হাজারে পৌঁছাতে পারে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী-

নিহতের সংখ্যা ও বয়স: ১৬ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ৩২৭ জন এবং ৪ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫৪৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৭৭ শতাংশ গুলিতে মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে ১৯ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা সবচেয়ে বেশি (৫৩ শতাংশ) এবং ৩০ বছরের মধ্যে বয়সধারী নিহতের হার ৭০ শতাংশ। নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী (৫২ শতাংশ)।

মৃত্যুর কারণ: নিহত ৮৭৫ জনের মধ্যে ৭৭২ জনের মৃত্যুর ধরন জানা গেছে। এর মধ্যে ৭৭ শতাংশ গুলিতে, ৮ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ হয়ে, ১১ শতাংশ পিটিয়ে এবং ৪ শতাংশ অন্যান্য কারণে মারা গেছেন।

আন্দোলনের পরবর্তী পরিস্থিতি: শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর, ৫ আগস্ট থেকে সারা দেশে থানা, সরকারি স্থাপনা এবং সংখ্যালঘুদের স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

বিভাগ ভিত্তিক নিহতের সংখ্যা: ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৫৪০ জন, চট্টগ্রামে ৯১ জন, খুলনায় ৮১ জন, রাজশাহীতে ৬৪ জন, ময়মনসিংহে ৩৮ জন, রংপুরে ২৯ জন, সিলেটে ২০ জন এবং বরিশালে ১৩ জন নিহত হয়েছেন।

এইচআরএসএস-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, ছাত্রলীগকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছিল এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নানা ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছে।

Comments (0)
Add Comment