শুক্রবার রাজধানীর উত্তরায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে ‘জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা রোধে সচেতনতায় আলেম সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াই জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। তাই শুধু ইসলামের নামধারী জঙ্গিদেরকেই প্রতিহত করলে চলবে না, তাদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় তাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া এখন হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। জঙ্গি দমন করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে যে সকল জঙ্গী মারা গিয়েছিলো তাদের পিতা মাতা এমনকি আত্বিয় স্বজন পর্যন্ত তাদের লাশ দেখতে যায় নি কিন্তু খালেদা ফকরুলরা তাদের জন্য মায়া কান্না কেঁদেছে।
প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগে ও ওয়াজের মাহফিলে ইসলামের সত্যিকার মর্মবাণী মানুষের কাছে তুলে ধরতে আলেম সমাজের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এ দেশে কোনো তরবারি কিংবা সন্ত্রাস সৃষ্টি করে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়নি। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার পাশাপাশি ইসলামকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চক্রান্তে লিপ্ত জঙ্গিরা। তারা সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বের মুসলমানদের ওপর যে নির্যাতন শুরু হয়েছে তার জন্য এসব জঙ্গি সংগঠনই দায়ী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুফতি তাজুল ইসলাম ফারুকী, আলহাজ মো. শাহীন খান, মুফতি হারিসুল হক হোসাইনী, মাওলানা জয়নুল আবেদিন, মুফতি কামাল উদ্দিন জাহান পুরী প্রমুখ।