রাজধানীর সূত্রাপূরে হেযবুত তওহীদের জঙ্গিবাদ বিরোধী বিশাল জনসভা ও র‌্যালি

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রাজধানীতে হেযবুত তওহীদের বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখছেন হেযবুত তওহীদের এমাম; মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিবৃন্দ।

নিজস্ব প্রতিবেদক: জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আজ শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় মানবতার কল্যাণে নিবেদিত অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার নানামুখী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সন্ত্রাস দমনে জনসম্পৃক্ততার বিকল্প নেই’ শীর্ষক এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হেযবুত তওহীদের আমীর মসীহ উর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে হেযবুত তওহীদের এমাম বলেন, “আজকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রতিটি মো’মেনের জন্য অবশ্য কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেহেতু জঙ্গিবাদ একটি আদর্শিক বিষয়, মতবাদগত সন্ত্রাস, তাই একে মোকাবেলা করার জন্য শুধুমাত্র শক্তিপ্রয়োগ যথেষ্ট নয়। একে নির্মূল করার জন্য শক্তি প্রয়োগের পাশাপাশি প্রয়োজন একটি সঠিক আদর্শ যা দিয়ে বাস্তবিক অর্থেই জঙ্গিবাদকে ভ্রান্ত ও অসার মতবাদ হিসেবে প্রমাণ করা সম্ভব। আর সেই আদর্শটি প্রস্তাব করছে হেযবুত তওহীদ।” এটা জাতির অস্তিত্বের প্রশ্ন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা যদি এই মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারি, তবে আমাদেরকেও শীঘ্রই ইরাক-সিরিয়ার ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে।” তিনি বলেন, “এই সংকটকালে হেযবুত তওহীদ সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ করে যাচ্ছে।”
তিনি জঙ্গিবাদ মোকাবেলার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্টদের বিবেচনার জন্য কিছু সুনিদিষ্ট প্রস্তাবনা পেশ করেন যার মধ্যে রয়েছে – (১) জঙ্গিবাদের অসারতা ও ইসলামের প্রকৃত আকিদা মানুষের সামনে তুলে ধরা। এক্ষেত্রে গণমানধ্যমগুলোয় বিশেষ গুরুত্ব সহকারে জঙ্গিবাদবিরোধী আদর্শ প্রচার করা। (২) শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো। (৩) আইন-শৃঙ্খলার রক্ষাকারী বাহিনীকে ধর্মীয় কর্তব্যবোধের শিক্ষা প্রদান। ৪. রাষ্ট্রকে ন্যায়ের উপর দন্ডায়মান হওয়া। (৫) অনৈক্যের ব্যবস্থাগুলো দূর করা। (৬) ধর্মবিশ্বাসী মানুষের ঈমানী চেতনাকে জনকল্যাণমূলক কাজে লাগানোর জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করে তরুণদেরকে সে কাজে লাগানো যেন তাদের ধর্মবিশ্বাস বিপথে প্রবাহিত না হয়।

সভা শেষে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ এক বিশাল র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিতে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্যানার, ফেস্টুন বহন করা হয়। র‌্যালিতে হেযবুত তওহীদের এমামসহ সভায় আগত সকলেই অংশ গ্রহণ করেন। সূত্রাপুর নতুন রাস্তা থেকে শুরু হয়ে আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শ্লোগান মুখরিত র‌্যালিটি সায়েদাবাদের নিকট এসে সমাপ্ত হয়।

Comments (0)
Add Comment