উদ্ধারকৃত দুই শিশুর নাম সুরাইয়া (দেড় মাস) ও জোবায়ের (৭)। আর আত্মসমর্পণকারী নারীর নাম সুমাইয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে জঙ্গি আস্তানায় পানি ছিটাচ্ছিল। এ সময় ওই আস্তানা থেকে দুই শিশুসহ আটজন বের হন। বের হয়েই তারা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ওপর বোমা ও বর্শা নিয়ে হামলা চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে জঙ্গিরা আত্মঘাতি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে পাঁচ জঙ্গি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আব্দুল মতিন আহত হয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
জঙ্গিদের বোমার স্প্রিন্টারে পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। আহত দুই পুলিশ সদস্যে নাম উৎপল ও তাজুল। তাদেরকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানায়, আত্মঘাতি বোমা বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে পাঁচটি লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। লাশের পাশেই ছিলেন দুই শিশুসহ সুমাইয়া নামের ওই নারী। এ সময় পুলিশ সুমাইয়ার প্রতি আহ্বান জানায় দুই শিশুকে তাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। পরে সুমাইয়ার নির্দেশে সাত বছরের শিশু জোবায়ের দেড় মাস বয়সী শিশু সুরাইয়াকে কোলে নিয়ে পুলিশের কাছে আসে। এ সময় পুলিশের দেওয়া পোশাক পড়ে সুমাইয়া আত্মসমর্পণ করেন।