ফুল পছন্দ করেননা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গাছের সারি আর ফুল দেখে যে কারও চোখ জুড়িয়ে যায়। তাই শ্রীনগরের টিউলিপ বাগানের চাষিরা খুব যত্ন করেই ফুল চাষ করেন। তারা আশা করছেন এবারের মৌসুমে বাগানে প্রায় ১০ লাখ টিউলিপ ফুল ধরবে।
স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘এই টিউলিপ বাগান আমাদের কাছে সন্তানের চেয়েও বেশি মূল্যবান। এদের রক্ষা করার জন্য আমরা সব করতে পারি। আমি এদের জন্য খুবই গর্বিত।’
প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও শ্রীনগরের টিউলিপ বাগানটি জনসাধারণের জন্য আগামী এক মাসের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। গত ৬ এপ্রিল জম্মু- কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী বাগানটি উদ্বোধন করেন। প্রিয় ফুলের সৌরভ নিতে প্রথম দিনেই পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। আগামী এক মাস লাখ লাখ বর্ণিল টিউলিপের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবে বাগানে আগত হাজার হাজার পর্যটক।
ভারতের জম্বু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মোহাম্মদ সাঈদ, ‘পুরো কাশ্মীরে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে, এখানে এমনটা নয়। এখানে শান্তি রয়েছে। এটা অনুভব করার জন্যই এ বাগানটি খুলে দেয়া হয়েছে।’
এক দর্শনার্থী বলেন, ‘দারুণ, চমৎকার লাগছে। এতদিন শুধু এসব ছবি আর সিনেমাতেই দেখেছি। আর আজ আমার চোখের সামনে। খুবই ভাল লাগছে।’
বর্তমানে ভারতের জম্মু- কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের টিউলিপ বাগানের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রকৃতি- প্রেমীদের কাছে। দূর-দূরান্ত থেকে বাগানের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসে অনেকেই।
বেড়াতে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, ‘এখানে আসার সময় ভাবছিলাম আসা কি ঠিক হলো। কিন্তু আসার পর আমার খুবই ভাল লাগছে। আমরা এখানে দারুণ সময় কাটাচ্ছি।’
এপ্রিল মাসই কাশ্মীরের উপত্যকায় টিউলিপ ফোটার উপযুক্ত সময়। এ সময় বিশাল বাগানের প্রায় সমস্ত সবুজ নানা রঙের টিউলিপের চাদরে ঢাকা পড়ে যায়।
এ দৃশ্য যে দেখবে একে ভূ-স্বর্গই বলবে। তবে এই শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করতে প্রয়োজন আরো বেশি বিনিয়োগ আর পরিচর্যার।