জামায়াত কখনো ক্ষমতায় গেলে গণমাধ্যমে হস্তক্ষেপ করবে না: আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

জামায়াতে ইসলামী কখনো ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ পেলে গণমাধ্যমে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন দলটির চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আমির
(সভাপতি) সাবেক সাংসদ ও হুইপ আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী।
তিনি বলেন, হিংসা ও বিভক্তির রাজনীতির কবর চায় জামায়াত। অতীতে জাতিকে হাত-পা বেঁধে আটকে রাখা হয়েছিল। কথা বলতে দেওয়া হয়নি। সাংবাদিকরা চাইলেও সত্য বলতে পারেননি। এখন সময় পরিবর্তন হয়েছে। আসুন সমাজের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্বার্থে এক হই। এ জায়গায় আমরা সমঝোতা করব না। আপনাদের (সাংবাদিক) কলম মুক্ত হোক। চিন্তা স্বাধীন হোক। আপনারা যাতে নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

সোমবার ২ই সেপ্টেম্বর বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর বাংলাদেশ জামাতে ইসলামর কার্যালয়ের বি আই এ ভবনে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (সিআরএ) সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলে।

সভায় বক্তব্য দেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, মিডিয়া এক্সপ্রেস এর সম্পাদক এন এ খোকন,দৈনিক আমার সংবাদের বিশেষ প্রতিনিধি আজিজুর রহমান আজিজ,আমাদের নতুন সময় স্টাফ রিপোর্টার রাজু আহম্মেদ, নিউজ ২১বাংলা টিভি ব্যুরো প্রধান মো: রাশেদ,প্রমুখ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের আবাসিক সম্পদ মো: বেলাল উদ্দিন ,দৈনিক একুশে সংবাদ স্টাফ রিপোর্টার মো: রুবেল,দৈনিক মুক্ত খবরের স্টাফ রিপোর্টার মো: আশরাফ,দৈনিক সকালের সময় মাল্টিমিডিয়া ইনচার্জ সাইফুদ্দিন রমিজ,রাজধানীর টিভি
স্টাফ রিপোর্টার আর মিলন,দৈনিক প্রতিদিন কাগজের স্টাফ রিপোর্টার আবুল হাসনাত মিনহাজ,দৈনিক সাঙ্গু স্টাফ রিপোর্টার নজিব চৌধুরী ,খবর বাংলা ২৪ স্টাফ রিপোর্টার এবাদুল প্রমুখ।

আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেন, এবারের আন্দোলন কোনো দলের ছিল না, তবে শুধু ছাত্রদেরও ছিল না। সাধারণ মানুষও ছিল। রাজনৈতিক দলগুলোর ১৫ বছরের আন্দোলন এবং ১৫ বছরের নির্যাতনের প্রতিফলন ঘটেছে। তবে অবশ্যই ছাত্রদের কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। তরুণদের প্রতিপক্ষ ভাবার কারণ নেই। যদি তারা পথ হারিয়ে ফেলে তাদের পথ দেখানোটাও আমাদের দায়িত্ব।

তিনি আরও বলেন, ধর্ম কিংবা দলের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে বিভক্ত করা হলে, তৃতীয় পক্ষ দেশ নিয়ে মাতব্বরির সুযোগ নেবে। জামায়াত ক্ষমতায় এলে ধর্মের ভিত্তিতে কোনো মূল্যায়ন করা হবে না। সংখ্যালঘু শব্দটা দিয়ে সমাজকে বিভক্তি করা হচ্ছে। আমরা চাই এ সংস্কৃতি উঠে যাক।

Comments (0)
Add Comment