ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের আইনগত দিক ভালোভাবে দেখে বাস্তবায়ন করবে সরকার। যেন আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে আর কোনো সুযোগ না পায়।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের যৌথসভা শেষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন মি. কাদের।
কোটা আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ ও সহিংসতার পর সারাদেশে পুলিশি ধরপাকড় অভিযান নিয়েও নানা সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
এই সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, “গ্রেপ্তারের সংখ্যা বাড়াতে গিয়ে নিরপরাধ কাউকে জড়ানো যাবে না। অতি উৎসাহী হয়ে যাতে নিরপরাধ কাউকে গ্রেপ্তার করা না হয়, সে বিষয়ে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে দাবি করে মি. কাদের বলেন, “কোথায় বৈঠক হয়েছে, কোথা থেকে নির্দেশ আর অর্থ যোগান এসেছে এসব এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট।”
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আওয়ামী লীগ ও সরকার। এমন দাবি করে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, “আমাদের লোকদের অস্ত্র দিয়ে কোথাও অবস্থান নিতে বলিনি। আমরা তো আক্রান্ত হয়েছে। নিরস্ত্র ব্যক্তিরা সশস্ত্র ব্যক্তিদের দিয়ে আক্রান্ত হয়েছি। এলিভেটেড, মেট্রোরেল, সেতুভবনসহ সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”