২০১৩ সালে হাইকোর্টের রায়ে নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণার পাঁচ বছর পর বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এর ফলে দলটি দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা নিয়ে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
কমিশনের সংশিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আপিল বিভাগে দলটির পক্ষ থেকে আপিল আবেদন থাকায় এতদিন নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেনি কমিশন।সম্প্রতি কমিশন মনে করেছে, আপিল আবেদন হলেও তা স্থগিত না থাকায় হাইকোর্টের রায় প্রতিপালনে কোনো বাধা নেই, তাই দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হলে ইসির সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পাওয়া গিয়েছে। ওই রায়ের প্রতিপালন করতেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আপিল বিভাগের কোনো নির্দেশনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপিল বিভাগ থেকে আমরা ইনফরমেশন স্লিপের মাধ্যমে অ্যাডভোকেটের প্রত্যায়নপত্র নিয়েছি। দেয়ার ইজ নো স্টে অর্ডার। আপিল বিভাগের কোনো স্থগিতাদেশ নেই।
গত সপ্তাহে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি সংগ্রহ করে ইসির আইন শাখা। ওই রায়ের ভিত্তিতেই জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করার অনুমোদন চেয়ে কমিশনে ফাইল তোলা হয়। এরপরই তা অনুমোদন করে গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারি মুদ্রণালয়ে পাঠানো হয়।