কেফায়েত উল্ল্যাহ, জিয়ানগর: শতভাগ পাশ ও জিপিএ-৫, বৃত্তি, স্কলারশিপ এর ছাড়া ছড়ি থাকা সত্তেও বছরের পর এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলায় ১০টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার আশঙ্খা রয়েছে। বেতন ভাতা না পাওয়ায় আর শিক্ষকদের অবমূল্যায়নের কারণে শিক্ষক-কর্মচারীরা হতাশ হয়ে পরেছে। সরকার দ্রুত এই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিও ভুক্তির আওতায় না নিলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা করেছেন শিক্ষক নেতারা। স্কুল, কলেজ, মদ্রাসা ও কারিগরি সহ ১০টি প্রতিষ্ঠানের ২শতাধীক শিক্ষক-কর্মচারী বেতন ভাতা না পেয়ে মানবতার জীবন যাপন করছেন বলে যানা যায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর কারিগারি কলেজ দীর্ঘদিন যাবৎ চলার পরে এমপিও ভুক্তিতে অনিশ্চয়তা থাকায় শিক্ষকরা অন্যত্র চলে যায়। যার ফলে কলেজটি বন্ধ হয়ে যায়। যানা যায়, উপজেলার বাটাজোর আলিম মাদ্রাসা, দিঘীর পাড় আলিম মাদ্রাসা, জিয়ানগর এফ. করিম আলিম মাদ্রাসার আলিম স্তরের, টগড়া দারুল ইসলাম কামিল মাদ্রাসার কামিল স্তরের, পাড়েরহাট রাজলক্ষ্মী স্কুলের কলেজ, চন্ডিপুর কেসি টেকনিক্যাল কলেজের, ইন্দুরকানী সেতারা স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উচ্চ মাধ্যমিক স্তর, কালাইয়া রাজিয়া রশিদ মহিলা দাখিল মাদরাসা, বিজিএস মহিলা দাখিল মাদরাসা, টগড়া বালিকা দাখিল মাদরাসাগুলো প্রায় ২যুগ ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়ে পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাশ সহ জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা আত্মমানবতার সাথে কাজ করছে। টগড়া বালিকা দাখিল মাদরাসার সুপার মাও: গিয়াস উদ্দিন সেলিম জানায়, আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই ২০০০ইং সনের পূর্বে প্রতিষ্ঠিত। শিক্ষরা প্রায় ২যুগ ধরে এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে এমপিও ভুক্তির আশায় বিনা পারিশ্রমিকে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা ছাড়া দিন রাত প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও শিক্ষার মান বজায় রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সকল প্রতিষ্ঠানই সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করছে। প্রতিষ্ঠান থেকে কোন প্রকার আর্থিক সহযোগিতা না পেয়ে অভাব অনাটনে দিন কাটাচ্ছে অনেক শিক্ষক পরিবার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিও ভুক্ত না হওয়ার কারনে যে কোন মুহুর্তে বন্ধ হতে পারে।