জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে এফবি মায়ের দোয়া নামের একটি মাছ ধরা ট্রলার পাড়েরহাট খালের ব্রিজটির নিচ থেকে বরফ আনতে যায়। এসময় ব্রিজটির সাথে সামান্য ধাক্কা লাগায় ব্রিজটি ওই ট্রলারটির উপরে ধসে পড়ে। ওই ট্রলারের মাঝি কামাল হোসেনের ৩২)মাথায় মারাত্মক ভাবে আঘাত লাগে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে খুলনা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এছাড়াও আহত হয়েছেন ওই ট্রলারটির কর্মচারী মিজান ও ইউসুফ হাওলাদারসহ অন্তত ৮ জন। ব্রিজটি ভেঙ্গে বাদুরা মৎস্য বন্দরের সাথে স্থলপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় জন দূর্ভোগ চরমে পৌছেছে। যাত্রী সাধারন নৌকায় করে খালটি পার হচ্ছে। ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ায় বর্তমান ইলিশ মৌসুমে এই বন্দর থেকে হাজার হাজার টন মাছ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরাও মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হতে যাচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার লেনদেন হয়ে থাকে এই বন্দরে।
এ বিষয়ে বাদুরা মৎস্য বন্দরের মৎস্যজীবি সমাজ কল্যান সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. মোস্তফা আকন জানান, ব্রিজটি আমাদের মৎস্য বন্দরের জন্য অতি গুরুত্ব পূর্ন। এই ব্রিজটিই স্থলপথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। এটা ভেঙ্গে পড়ায় আমরা কোথাও মাছ সরবরাহ করতে পারছি না। আমাদের ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী পারভেজ জানান, কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানেরই নিম্নমানের কাজ করায় ব্রিজটি ভেঙ্গে গিয়েছে।
স্থানীয় বাসীন্দা মুরাদ খান সেুত বলেছেন, এই ব্রিজ থেকে কতিপয় ব্যবসায়ী ভারি মালামাল পরিবহন করে থাকে। আবার ব্রিজের খাম্বার সাথে বড় বড় পন্যবাহী ভারি ট্রলার বেধে রাখা হত। যাতে ধিরে ধিরে ব্রিজের খাম্বাগুলো দূর্বল হয়েছিল। প্রায় তিন মাস পূর্বে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্রিজটি মেরামতের কাজ করে। যা খুবই নিম্ননের ছিল বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর লিডার মো. গোলাম রসুল জানান, আমরা সকাল ৯ টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে ৮/১০ জনের একটি টিম উদ্ধার কাজ পরিচালনা করি।
অপর দিকে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের দাবী যাতে জরুরী ভিত্তিতে পাড়েরহাট খালে একটি উন্নতমানের ব্রিজ নির্মাণ করা হয়।