অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অনলাইন টেলিভিশন এসোসিয়েশনের সভাপতি, জেটিভি অনলাইনের চেয়াম্যান ও হেযবুত তওহীদের সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমান, বিশিষ্ঠ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশেরপত্র.কম এর জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি আলহাজ্ব মাও. শাহ্ সুলতান মাহমুদ, পাঁচবিবি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মিছির উদ্দিন, পাঁচবিবি উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কায়ছার আলী মন্ডল, হেযবুত তওহীদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুয্যামান মনির, জোবায়ের আহম্মেদ নূহু, জয়পুরহাট জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি আবু রায়হানসহ জয়পুরহাট জেলা হেযবুত তওহীদের কর্মীবৃন্দ ও হাজার হাজার সাধারণ জনতা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন পাঁচবিবি উপজেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান মুকুল।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, “আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী। সেই সাথে আমি একজন মুসুলমানও। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায় আমি তাদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে বাংলাদেশে একটি ষড়যন্ত্রকারী শ্রেণি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নিজেদের হীন স্বার্থ উদ্ধার করেছে। প্রকৃত ইসলাম যদি আমি পালন করি তাহলে আমাকে অবশ্যই ন্যায়ের পক্ষে থাকতে হবে।
মুখ্য আলোচক হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম তাঁর ভাষণে বলেন, ‘পৃথিবীতে অনেক দল অনেক পক্ষ আপনারা দেখতে পান, কিন্তু মূলত পক্ষ দুইটি। ডান-বাম, সত্য-মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায়, আল্লাহর হুকুম-ইবলিসের হুকুম। তেমনি রাস্তাও দুইটি- একটা হচ্ছে সেরাতুল মোস্তাকীম বা সহজ-সরল পথ। আরেকটা ভুল পথ, ইবলিসের পথ, শয়তানের পথ, দালালাত। পরিণতিও দুইটি- জান্নাত ও জাহান্নাম। মধ্যখানে আছি আমরা মানুষেরা। আমাদেরকে আল্লাহ স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দিয়েছেন। আমি কোনদিকে যাব? আল্লাহর হুকুম মানব নাকি ইবলিসের হুকুম মানব? ডানদিকে যাব নাকি বামদিকে যাব? তা আমরা নিজেরাই ঠিক করতে পারি। তিনি আরও বলেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার বেলায় সাবধান হোন, যেন-তেন সিদ্ধান্ত নিবেন না। কারণ যদি সিদ্ধান্ত ভুল হয় তাহলে সবই ভুল হয়ে যাবে, ভুল গন্তব্যে পৌঁছবেন। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াটা হচ্ছে মূল চ্যালেঞ্জ, আর সেই সঠিক সিদ্ধান্তই হচ্ছে- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহ ছাড়া কারো হুকুম মানব না। বর্তমানে মানুষ এই সিদ্ধান্ত নেয় নি, তারা আল্লাহর হুকুমকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এর ফলশ্রæতিতে আমরা সৃষ্টি করেছি তের হাজার পারমাণবিক বোমা, যা যেকোনো মুহূর্তে এই পৃথিবী নামক গ্রহটিকে ধ্বংস করে দিতে পারে। যে কোনো মুহূর্তে পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলো যুদ্ধ বাধিয়ে দিতে পারে। সীমান্তে সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করছে। রাষ্ট্রপ্রধানরা উস্কানির ভাষায় কথা বলছে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানীরা বারবার পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা ব্যক্ত করছেন।
তিনি হেযবুত তওহীদের ব্যাপারে যারা বিভ্রান্তি ছড়ায় তাদেরকে আন্দাজে কথা না বলে জেনে বুঝে কথা বলতে আহŸান জানান। মুসলমানদেরকে প্রকৃত ঈমানের বলে বলীয়ান হওয়ার আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মুসলমানকে এখন মাটি রক্ষা করতে হলে, জাতি রক্ষা করতে হলে, দেশ রক্ষা করতে হলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আমাদের এক আল্লাহ, এক রসুল, এক কিতাব, এক লক্ষ্য, এক কর্মসূচি। যে কোনো ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্ত হবে একটা, নেতা হবেন একজন।’ সত্যের পক্ষে জাতিগত ঐক্যই একমাত্র জিনিস যা আমদেরকে আসন্ন পরিণতি থেকে রক্ষা করতে পারে।