নির্বাচনে সমর্থন না করা, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধসহ বিভিন্ন আক্রোশে অনুসারীদের নিয়ে ‘নাটকীয় মানববন্ধন’ করে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আকরাম হোসেন নামে এক ব্যাক্তি।
শুক্রবার বিকালে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ভালুকা গ্রামে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন মৃত আলী আকবরের ছেলে আকরাম হোসেন।
মানববন্ধনের সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ ও বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে কল্পিত অভিযোগ দিয়ে তার পরিবারকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে এবং পরিবারের শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ তার।
৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ আকরাম হোসেনের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তার ছেলে ফজলুল করিম। তিনি বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি পার্শ্ববর্তী ফুলহারি গ্রামের ইউপি সদস্য ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যন মজনু মিয়া কল্পিত অভিযোগ তুলে আমাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ দিয়ে অপপ্রচার করে আসছে। এমনকি পত্রিকায় আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করে আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। এছাড়াও মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমাদেরকে হয়রানী করছে। এতে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের সুনাম, শান্তি ভঙ্গের মারাত্মক কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
উল্লেখ্য বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া মজনু মিয়ার অভিযোগ অনুযায়ী- গত ১৫ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় ভালুকা গ্রামের জনৈক হাবিবর ও হালিমের বাড়ির সম্মুখে মৃত আঃ জলিলের পুত্র মোঃ মজনু মিয়াকে প্রাণ নাশের হুমকি ও রাম দা এবং চাকু নিয়া মারপিট মিথ্যা হুমকির কথা বলে এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে গালাগালি করা, হত্যার হুমকি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেন। অভিযোগেগ আকরাম হোসেনকে ১নং বিবাদী করা হয়েছে। ২নং বিবাদী করা হয় মো. ফজলুল করিম ওরফে ফজল হককে।
মজনু মিয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত উল্লেখ করে আকরাম হোসেন বলেন, ১৩ থেকে ১৭ জানুয়ারী পর্যন্ত তিনি ঢাকায় বিশ্ব ইজতেমায় ছিলেন। ২নং বিবাদী মোঃ ফজলুল করিম ওরফে ফজল হক ঘটনার পূর্ব থেকেই ঢাকায় অবস্থান করে ব্যবসায় লিপ্ত ছিলেন। ফরহাদ হোসেন ও জিব্রাইলকে ৩/৪ নং বিবাদী করা হয়েছে। মূলত ফরহাদ ও জিব্রাইল মো. মজনু মিয়ার বিরুদ্ধে আনীত একটি মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনয়ন করা হয়েছে। ১৫ জানুয়ারিতে বর্ণিত কোনো ঘটনাই ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়াও মজনু মিয়ার অভিযোগ উল্লেখিত চুরি, ডাকাতি, খুন, রাহাজানি, ছিনতাই এবং মুক্তিযোদ্ধাদের গালি দেওয়ার বিষয়টিও সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ভালুকা গ্রামের হালিম মিয়া বলেন, আমার বাড়ির সামনে যে ঘটনার কথা মজনু বলছে সেই ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
মজনু মিয়া বলেন, আকরাম আমার সাথে দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝামেলা করে আসছে। তাই তার বিরুদ্ধে আমি মানববন্ধন করতে বাধ্য হয়েছি।
এদিকে মানববন্ধন ও অভিযোগের বিষয়টিকে ‘গ্রাম্য রাজনীতি’ বলে মন্তব্য করেছেন তার পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীরা। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিও তাদের।