তাই সিরিজের শেষ ওয়ানডে (তৃতীয়) ও দুটি তিনদিনের ম্যাচে সুযোগ পেতে পারেন রাব্বি। ভারত সফরের সুযোগটাকে গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করছেন রাব্বি। আলাপকালে রাব্বি বলেন, ‘এই সফরটা এ জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে, দলটা জাতীয় দলের মতোই। স্কোয়াডের মাত্র দুই জন ক্রিকেটার জাতীয় দলের বাইরে আছেন। সাকলাইন সজীব এবং আমি। এখানে ভালো পারফরম্যান্স করলে নির্বাচকরা বিবেচনায় রাখবেন। এটা বড় একটা সুযোগ। সামনে অনেক খেলা আছে। ভালো করলে হয়তো জাতীয় দলের বিবেচনায় চলে আসার সুযোগ থাকবে।’
জাতীয় দলের পেসার তাসকিনের জায়গায় খেলতে হবে রাব্বিকে। তাই তাকে ঘিরে দলের প্রত্যাশাও থাকবে বেশি। সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে চান এই বোলার। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্স করায় ভারতে গিয়ে ভালো করতে আÍবিশ্বাসী কামরুল জানান, ‘তাসিকেনর জায়গায় যাচ্ছি, আশা ভালো কিছু করার। এক বছর ধরে প্রিমিয়ার লিগ, ন্যাশনাল লিগ, বিসিএল-এ ভালো করছি। ‘এ’ টিমের প্র্যাকটিসে ছিলাম।
এইচপিতে (হাই পারফরম্যান্স ইউনিট) তিনমাস প্র্যাকটিস করেছি। তাই আÍবিশ্বাস কাজ করছে মনের ভেতর, আশা করছি ভালো কিছু করতে পারবো।’
রাব্বি মনে করেন প্রতিটি ম্যাচই একজন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, ‘প্রত্যেকটা টুর্নামেন্টের প্রত্যেকটা ম্যাচই একজন ক্রিকেটারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কোন পারফরম্যান্স কাজে লাগবে তা বলা যায় না। আমি আশাবাদী, তবে চাপ নিচ্ছি না। যদি বেশি চিন্তা করি চাপ চলে আসবে।
যখন ম্যাচ খেলবো শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করবো, ভালো করার চেষ্টা করবো। ফোকাসটা মাঠের পারফরম্যান্সেই রাখছি। ‘এ’ দলের হয়ে খেলা রাব্বির জন্য নতুন নয়। গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। এখন পর্যন্ত ৩৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৯০ উইকেট। এছাড়া ২৮টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে ৪২ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার।
বাংলাদেশেরপত্র এডি/এস