তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ)সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে টানা বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। জেলার সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৯০মেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার ২৪ ঘন্টয় ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে জেলা সদরের সাথে উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পানি বন্দি হয়ে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার হাওর বেষ্টিত অসহায় মানুষ। ভারি বর্ষনে জেলার হাওর ও নদ-নদী, সীমান্তের ছোট-বড় ২০ ছড়া দিয়ে প্রবল বেগে পাহাড়ী ডলের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারনে পাহাড় ধসের আতংকের মধ্যে রয়েছে উপজেলার চানপুর, টেকেরঘাট, লাকমা, লালঘাট, চাঁরাগাঁও, বাগলী সীমান্তসহ সীমান্তবর্তী বসবাসকারী হাজার হাজার পরিবার। তারা তাদের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি গুলো রক্ষা করা নিয়ে রয়েছে পড়েছে মহাবিপদে।
এদিকে তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত নদী যাদুকাটা নদী দিয়ে পাহাড়ী ঢলের পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করে প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদী তীরবর্তী বসতবাড়ি গুলো রক্ষা করার জন্য ঐ এলাকার লোকজন করছে পানির সাথে যুদ্ধ। অব্যাহত ভারি বর্ষন ও ঢলের কারনে তাহিরপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ইছুবপুর, সোহালা, সত্রিশ, ইসলামপুর, লামাগাঁও, শ্রীপুর, পন্ডুব, পাটাবুকাইত্তর বগদল, দক্ষিন বড়দল, মানিকখিলা, সোলাইমানপুরসহ ৪০টি গ্রামের বাড়ি-ঘর ও রাস্তাঘাট ডুবে গেয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হাওর পাড়ের স্কুল গুলো পানি বন্ধী সহ হচ্ছে। তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের শক্তিয়ারখলার দূর্গাপুর ১০০কিলোমিটার নামক সড়কটি পাহাড়ী ঢলের পানিতে ডুবে যাওয়ায় জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে পড়েছে। পাহাড়ী ঢলের কারণে তাহিরপুর উপজেলার হাওর এলাকার দ্বীপ সাদৃশ্য গ্রামগুলোতে বসবাসকারী মানুষ জন রয়েছেন উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা মধ্যে বসবাস করছে।