পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত মঙ্গলবার বার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নিজ বসত ঘর সংলগ্ন বৌলাই নদীতে অলিমা(১২) একা হাত-মুখ ধুতে যায়। এ সময় আগে থেকেই উৎপেতে থাকা একই গ্রামের রাসেল মিয়া (৩০) জোড় পূর্বক থাকে তুলে তার নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষন করে। এ ঘটনায় জানাজানি হলে ধর্ষনকারী রাসেল মিয়া পালিয়ে যায়। ধর্ষনের ঘটনা প্রকাশ ও মামলা না করার জন্য ধর্ষণকারী ও তার আত্মীয় স্বজনরা নানা ভাবে ভয় দেখায়।
এক প্রর্যায়ে ধর্ষীতার ভাই রুয়েল মিয়া বাদী হয়ে গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় রাসেল মিয়ার বিরোদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১৬।
মামলা দায়ের পর তাহিরপুর থানা এস আই মুহিত একদল পুলিশ সদস্য নিয়ে অভিযান চালিয়ে রাতে রাসেল মিয়া কে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে।
বাদী রুয়েল মিয়া জানান, যে আমার বোনের জীবনটা নষ্ট করেছে তার বিচার চাই। তার আত্মীয়-স্বজনরা আমাকে বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখাচ্ছে।
দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সরকার জানান, ধর্ষনের ঘটনা শুলে আমি মেয়ে ও তার মার সাথে কথা বলেছি এবং পুলিশ কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।
তাহিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ হানিফ এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলা দায়েরের পর গতকাল রাতেই আসামী আটক করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ১০টায় সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। আর ধর্ষীতা কে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।