ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) হটিয়ে তিকরিত পুনর্দখলের পর শহরটিতে ব্যাপক লুণ্ঠন চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে। তিকরিত পুনর্দখলের লড়াইয়ে ইরাকি সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করে এসব শিয়া মিলিশিয়া যোদ্ধা। সাদ্দাম হোসেনের জন্মস্থান তিকরিত নগরী মূলত সুন্নি অধ্যুষিত। তিকরিতের স্থানীয় সুন্নি রাজনীতিবিদগণ অভিযোগ করেন, আইএস যোদ্ধারা শহরটি থেকে চলে যাওয়ার পরপরই শহরে ঢোকা শিয়া মিলিশিয়া যোদ্ধা এবং ইরাকি সামরিক বাহিনীর অনেক ইউনিট নগরীর বিভিন্ন বাড়িঘরে আগুন দেয় এবং দোকানপাটে লুটপাট চালায়। এ পরিস্থিতিতে নগরীতে লুটপাট ও অরাজকতার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি। এক বিবৃতিতে তিনি তিকরিত সহ সালাহউদ্দিন প্রদেশে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গকারী যে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। সালাহউদ্দিনের প্রভিন্সিয়াল কাউন্সিলের প্রধান আহমেদ আল কারিম জানান, শিয়া মিলিশিয়া যোদ্ধারা গত দুইদিনে অন্তত ৪শ বাড়িঘর এবং অর্ধসহস্রাধিক দোকানে লুটপাট চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ পরিস্থিতি হায়দার আল আবাদির নেতৃত্বাধীন ইরাকের কেন্দ্রীয় সরকার নতুন করে সুন্নি অসন্তোষের চ্যালেঞ্জে পড়তে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাসব্যাপী লড়াইয়ের পর আইএস এর কবল থেকে ইরাকের তিকরিত নগরী দখল করে নেয় ইরাকি বাহিনী। এ লড়াইয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করে ইরান সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া গ্র“পগুলো। এছাড়া লড়াইয়ে ইরাকি বাহিনীকে সহায়তা দেয় মার্কিন জঙ্গি বিমান।