তিন মামলায় ফখরুলের জামিন বহাল

রাজধানীর পল্টন থানায় পুলিশের দায়ের করা তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ সোমবার এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ। ফলে ফখরুলের মুক্তিতে আর কোনো আইনগত বাধা রইলো না।

এর আগে নাশকতার কাজে উস্কানি, প্ররোচনা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী পল্টন এলাকায় হরতালের মধ্যে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গত ৪ ও ৬ জানুয়ারি এসব মামলা দায়ের করে পল্টন থানা পুলিশ। গত ২১ জুন ওই তিন মামলায় ফখরুলকে জামিন দেন বিচারপতি মো. রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। গত ২৯ জুন জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদনটি করেন রাষ্ট্রপক্ষ। পরে সেটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত।

গত ২ জুলাই শুনানি শেষে ফখরুলের জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য ৫ জুলাই দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। কিন্তু ওই দিন আদেশ না দিয়ে ৮ জুলাই আদেশের দিন পুনর্নির্ধারণ করেন। একই দিনের মধ্যে ফখরুলের অসুস্থতার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মেডিকেল প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। ৮ জুলাই মেডিকেল রিপোর্ট না আসায় আপিল বিভাগ বলেছিলেন, মেডিকেল রিপোর্ট এলে এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।

৯ জুলাই ফখরুলের অসুস্থতার বিষয়ে মেডিকেল প্রতিবেদন জমা দেয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, মির্জা ফখরুলের যে শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তার সুচিকিৎসা দেশেই করা সম্ভব, দেশের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

এরপর ফখরুলের চিকিৎসায় নতুন করে মেডিকেল বোর্ড গঠনের আদেশ দিয়ে তার জামিনের বিষয়ে আদেশ ফের পিছিয়ে সোমবার পুনর্নির্ধারণ করেন আদালত।গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি আদালতের নির্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে কারাবন্দি অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

এদিকে, পল্টন থানার দু’টি ও মতিঝিল থানার একটিসহ নাশকতার অপর তিন মামলায় মির্জা ফখরুলকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন গত ২৮ জুন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে সবগুলো মামলায়ই জামিন পেলেও পল্টন থানার তিন মামলায় জামিন স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করায় তার মুক্তি আটকে যায় বলে জানান আইনজীবীরা। সোমবারের জামিন বহাল থাকার আদেশে এখন আর তার মুক্তি পেতে কোনো বাধা রইলো না বলেও জানান তারা।

সর্বোচ্চ আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

Comments (0)
Add Comment