তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, জনজীবন বিপর্যস্ত

উজানের ঢল ও দুদিনের টানা বৃষ্টির কারণে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই অবস্থায় রয়েছে। এতে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি উঠে পড়েছে, ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

শনিবার সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ মিটার, যা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন। তিনি জানান, অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানির চাপ কমাতে ইতিমধ্যে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ৭-৮টি চর ও পার্শবর্তী কালীগঞ্জ, আদিতমারী উপজেলার কয়েকটি চর এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। চরাঞ্চলের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে, যার ফলে স্থানীয় মানুষজন চরম বিপাকে পড়েছেন।

আদিতমারী উপজেলার গোবরর্দ্ধন গ্রামের আজিজুল ইসলাম বলেন, “শুক্রবার রাত থেকে পানি বেড়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করেছে। অনেক কষ্টে আছি আমরা।”

হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান জানান, “তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১ থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় আড়াই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।”

গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার সারাদিন টানা বৃষ্টিপাতের পর শনিবারও থেমে-থেমে বৃষ্টি হচ্ছে, ফলে জনজীবন অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

এদিকে, অতিভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। লালমনিরহাট পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার রায় জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও গত দুইদিনে রংপুর বিভাগের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পেয়েছে।

Comments (0)
Add Comment