নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
ছাত্রলীগের কর্মীসভায় কর্মী আনা নিয়ে নারায়ণগঞ্জে যুবলীগের দুই গ্র“পে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ১০জন। এর মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল দুপুর ১টার দিকে ফতুল্লার কুতুবপুর এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। গতকাল বিকেলে শহরের চাষাঢ়ায় অনুষ্ঠিতব্য জেলা ছাত্রলীগের সভায় কর্মী আনা নিয়ে জেলা যুবলীগের যুগ্ম স¤পাদক শাহনিজাম ও নগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু গ্র“পের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। দুই যুবলীগ নেতাই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের অনুসারী। গুরুতর আহত কুতুবপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ স¤পাদক জাকির হোসেন জুয়েল, যুবলীগকর্মী আবদুল হাকিম ও সাগরকে শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া সোহাগসহ আহত ছয়জনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্র ও আহতরা জানায়, বিকেলে চাষাঢ়ায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জেলা ছাত্রলীগ সমাবেশ করে। এজন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে দুপুর থেকেই মিছিল আসতে থাকে। দুপুর ১টার দিকে ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকাতে জড়ো হতে থাকে স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মী। ওই এলাকাতে যুবলীগের একটি অংশ জেলা যুবলীগের যুগ্ম স¤পাদক শাহ নিজামপন্থি ও অপর অংশ নগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনুপন্থি। সাজনুপন্থিদের মিছিলে নেতাকর্মী বেশি হওয়ায় নিজামপন্থিরা ক্ষুব্ধ হয়। এক পর্যায়ে মোফাজ্জল হোসেন চুন্নু, ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, বাদশাসহ আরো ২০-২৫ জন মিলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে সাজনুপন্থিদের ওপর হামলা চালায়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয় সাজনুপন্থি অন্তত ১০ জন। অন্যদিকে, আহতদের খানপুরে হাসপাতালে আনার পর সেখানে লোকজন জড়ো হলে স্থানীয় আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন আহতদের সঙ্গে আসা মনির ও লুৎফরকে মারধর করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন জানান, মিছিল নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্র“পের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।