অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ধর্মবিশ্বাসী মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে ভুল পথে প্রবাহিত করে স্বার্থান্বেষী একটি শ্রেণি ব্যক্তিগত ও রাজনীতিক স্বার্থ হাসিল করছে, ধর্মবিশ্বাসকে ধ্বংসের কাজে ব্যবহার করছে। এর সমাধানকল্পে আমাদের দেশসহ পৃথিবীর সর্বত্র শক্তি প্রয়োগের পন্থা বেছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র শক্তি প্রয়োগ করে সন্ত্রাস, সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূল সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক আদর্শ যা মানবজাতির সামনে উপস্থাপন করছে হেযবুত তওহীদ। আমরা মনে করি, ধর্মের যাবতীয় অপব্যবহার থেকে সমাজকে রক্ষা করার একমাত্র উপায় হচ্ছে ধর্মের নামে প্রচলিত অধর্মগুলোকে চিহ্নিত ও অপনোদন করা এবং ধর্মের প্রকৃত স্বরূপ তুলে ধরে মানুষের ঈমানকে সঠিক পথে প্রবাহিত করে জাতির উন্নতি, অগ্রগতি ও কল্যাণের কাজে ব্যবহার করা। এই আদর্শিক লড়াইয়ের ক্ষেত্রে সংস্কৃতি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কিন্তু বর্তমানে ধর্মের বিকৃত ফতোয়া দিয়ে শিল্পসংস্কৃতিকেও একপ্রকার নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে স্রষ্টা গান, বাদ্য, নাটক, চলচ্চিত্র প্রভৃতিকে নিষিদ্ধ করেন নি, তিনি নিষিদ্ধ করেছেন যাবতীয় অন্যায় ও অশ্লীলতা।’ অনুষ্ঠানের শুরুতে “ধর্মবিশ্বাস: একটি বৃহৎ সমস্যার সহজ সমাধান” শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা সমাপনান্তে তওহীদ সাংস্কৃতিক দলের শিল্পীবৃন্দ কর্তৃক একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অতিথি শিল্পী হিসাবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন।