ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নে সদ্য অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে প্রভাবশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীর শতবাঁধা বিপত্তি বোমা বিস্ফোরণসহ নানান বেরিকেডকে উপক্ষো করে সৎ আদর্শ ও নীতিবান ব্যাক্তি হিসেবে ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের কাছে পছন্দের প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আব্দুল কদ্দুস মন্ডলকে তার নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয় উপহার দেওয়ার খেসারত হিসাবে স্থানীয় ভোটারদেরকে বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করছে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদন্ধী পরাজিত প্রার্থী মোশারফ হোসেন জুয়েল ও তার ভাই সহ কর্মী সমর্থকরা এমন অভিযোগ করেছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও তার কর্মীরা।
সূত্র জানায়, মঠবাড়ীর আমজনতার প্রিয়মুখ কদ্দুস মন্ডল ও তার নৌকা প্রতীককে পরাজিত করতে প্রতিদ্বন্দী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন জুয়েল ও তার কর্মী সমর্থকরা নির্বাচনে প্রচারণা চলাকালে কদ্দুস সমর্থক ও নৌকার ভোটারদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে জয় ছিনিয়ে নিতে নির্বাচন চলাকালে ভোটকেন্দ্রে বোমা বিস্ফোণের ঘটনা ঘটিয়ে ভোটারদের মনে আতংক ছড়ায় যেন ভোটররা কেন্দ্রে উপস্থিত না হতে পারে। ভোট কাটার সুবিধার্থে কেন্দ্রে প্রবেশের রাস্তা কর্তন করে রাখে যাতে নির্বাচনে নিয়োজিত প্রসাশনিক কর্মকর্তারা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে। নির্বাচনে এমন কার্যক্রমের জন্য আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা তাকে গ্রেফতার করলে তার সমর্থকদের সন্ত্রাসী তান্ডবে আতংকিত হয়ে উঠেন সাধারণ ভোটার। তবুও ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে বিজয়ী করেন প্রিয় প্রার্থী আব্দুল কদ্দুস মন্ডলকে এবং সম্মান রক্ষা করেছেন বঙ্গবন্ধুর প্রতীক নৌকার।
অভিযোগ উঠেছে, প্রভাবশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী পরাজিত হয়েও থেমে নেই। নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগের প্রার্থী আঃ কদ্দুছ মন্ডলকে বিজয়ী করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জুয়েল ও তার কর্মী সমর্থকরা ভোটারদেরকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে হয়রানি করা সহ তাদেরকে এলাকা থেকে বিতারিত করা, ভোটারদের বাড়ী-ঘর ভাংচুর সহ বিভিন্ন ভাবে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। জেলা বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, অলহরী টানপাড়া এলাকার ভোটার শরীফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অভিযোগ করে বলেন- তাকে আওয়ামীলীগের নৌকায় ভোট দিয়ে কদ্দুছ মন্ডলকে বিজয়ী করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জুয়েলের কর্মী দেলোয়ার হোসেন নয়ন বিভিন্ন ভাবে হুমকী দিয়ে আসছে। তার বাড়ী-ঘর ভাংচুরের অপচেষ্ঠাও চালিয়ে যাচ্ছে নয়ন। নয়নের হুমকীতে সে এলাকায় থাকতে শঙ্কা ভোদ করছেন। অলহরি ঘাটপাড়ে স্থাপিত সরকারী টিউবওলেয়ের পানি ভোটারদেরকে ব্যবহার করতে দিচ্ছেনা নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে, অসংখ্য ভোটারদের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ জানা গেছে। অনেকেই ভয়ে মুখ খোলছেনা।
ভোটাদের অনেকই জানায়, মোশারফ হোসেন জুয়েল বিগত দিন মঠবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে পরিষদকে দুর্ণিতির আখড়া হিসাবে পরিণত করে রেখেছিলেন, যার ফলে অবহেলিত মঠবাড়ী ইউনিয়নের পুড়াবাড়ী এলাকায় কয়েকটি ব্রীজ মানুষের সমস্যার কারণ হয়ে দাড়ালেও নির্মাণ. করা হয়নি কাঙ্খিত সেই ব্রীজ গুলো। আঃ কদ্দুছ মন্ডল মঠবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে শপথ না করেই মানুষের সমস্যা দূর করতে নিজস্ব অর্থায়নেই সে সব ব্রীজ নির্মাণ কাজ ইতি মধ্যে শুরু করেছেন।
নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুছ মন্ডল জানান, মানুষ তাকে ইউনিয়নে উন্নয়নের স্বার্থেই নির্বাচিত করেছেন। মানুষের সেই চাহিদা গুলো বাস্তবায়নে যত জড় বাধা আসুক না কেন মানব কল্যাণে এগিয়ে যেতে পিছ পা হবেন না তিনি। তিনি জানান, যত দিন বাঁচবেন মানুষের কল্যাণেই কাজ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নিজের জীবণ বিলিয়ে দিবেন তিনি। ভোটারদেরকে দেওয়া হুমকীর বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন জুয়েলের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়ায় তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।