দক্ষিণ সুনামগঞ্জে কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বহিরাগতের হামলা; আহত ২৫

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: দক্ষিণ সুনামগঞ্জের আব্দুল গফুর উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে বহিরাগতদের অতর্কিত হামলায় ছাত্র, শিক্ষক অভিভাবক সাংবাদিক সহ ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন আব্দুল গফুর উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক কনর মিয়া (৩৮), মোঃ আবিদ আলী (৩৬), শাহনুর কবির খান (৩৭), মো. আলতাব হোসেন (৩৫), দশম শ্রেণীর ছাত্র আবু বক্কর (১৫), মোঃ মুনসুর (১৫),মোঃ আমিনুর (১৫) মোঃ হাসান (১৬), আলমপুর গ্রামের অভিভাবক শাহজাহান (২৮), রাসেল মিয়া (২৬) নাজিমপুর গ্রামের মাসুদ মিয়া (২৩), ছাদিক মিয়া (৩০), বজ্রশক্তি ও দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ শহিদ মিয়া (২৯)। গুরুতর আহত অবস্থায় আবু বক্কর, মুনসুর ও শাহজাহানকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যান্যদেরকে কৈতক পল­ী হাসপাতাল ও প্রাথমিকভাবে পল­ী চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাশিকুল ইসলাম, এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি সমুজ মিয়া, মুজিবুর রহমান,ছমির মিয়া, ছমরু মিয়া,জাহির আলী, নুরুল আমিন, আনিছ মিয়া, আঃ মছব্বির, বশির উদ্দিন, ও অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খসরুজ্জামানের কাছ থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের আব্দুল গফুর উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ২য় দিনের খেলাধূলা চলছিল এ সময় বহিরাগত জনতার উসৃংখলাতার কারণে মাঠের পরিবেশ বিঘœ ঘটছে দেখে অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র আলমপুর গ্রামের লিলু মিয়া মাইকের মাউথপিছ হাতে নিয়ে সবাইকে পরিবেশ শান্ত রাখার জন্য অনুরুধ করলে অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ছাতক উপজেলা বড়কাপন গ্রামের শিব্বির আহমদ তাহার সাথে তর্কে লিপ্ত হয়ে যায়। তখন কমিটির লোকজন এবং শিক্ষকবৃন্ধ এগিয়ে এসে বিষয়টি নিস্পত্তি করে দেন। কিন্তু সেই প্রাক্তন ছাত্র শিব্বির আহমদ কিছুক্ষণ পর খেলা চলাকালীন সময়ে বহিরাগত বড়কাপন গ্রামের লোকদের নিয়ে অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রী ও শিক্ষকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং মোবাইল ফোনে বড়কাপন গ্রামের লোকদের খবর দেয়। খবর পেয়ে বড়কাপন গ্রামের জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র লাঠিসোটা নিয়ে অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্র,শিক্ষক ও আলমপুর গ্রামের কিছু অভিভাবকের উপর ঘন্টাব্যাপী হামলা চালায় এবং আলমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয় পতাকা ও অফিসের আলমারি ভাংচুর করে। এ সময় সাংবাদিক সহ উপরোক্ত ব্যাক্তিগন আহত হন। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি রাশিকুল ইসলাম দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি আল আমিন কে ফোন করলে তাৎক্ষনিকভাবে থানার এস আই জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রতনে আনেন। এ ব্যাপারে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Comments (0)
Add Comment