বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মুমূর্ষু মা-মেয়েকে দিনাজপুর হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানায়, মায়ের নাম কোহিনুর বেগম কেয়া (৩৭), মেয়ের তৃষ্ণা (৫)। এ সময় লাশের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। কোহিনুর বেগম তার চিরকুটে লিখছেন, তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। তার লাশটি ময়নাতদন্ত শেষে বাবার বাড়িতে দাফন করার জন্যও বলে গেছেন তিনি। কোহিনুর বেগমের বাবার বাড়ি বুচাগঞ্জ উপজেলায়।
কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজীব জানান, বুধবার রাতে মা-মেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল ১১টা পর্যন্ত তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করেন।
কোহিনুর বেগমের স্বামী ঠাকুরগাঁওয়ে কর্মরত। দীর্ঘদিন ধরে কোহিনুর বেগম কেয়ার সাথে শাশুড়ি রেফুন বেগমের (৬৫) কলহ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বুধবার রাতে বউ-শাশুড়ির মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এর পর মা-মেয়ে না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে বলে জানান।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম খালেকুজ্জামান জানান, মা-মেয়ের আত্মহত্যার মোটিভ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।