রেলের পূর্বাঞ্চলের পলোগ্রাউন্ডে অবস্থিত টিএ ব্রাঞ্চ ব্রাঞ্চের আঙ্গিনা থেকে রেলের ভুয়া প্যাডে ভুয়া স্বাক্ষরিত আদেশে দামী গাছ পাচার হওয়া বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি কোন আইনের ব্যবস্থা। তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। বিশ্বস্ত গোপন সূত্রে জানা যায়, বিভাগীয় শাস্তি এড়াতেই মামলার আলামত কাটা গাছের গুড়িগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে দিন দুপুরে।
রেলের গাছ কেটে বাসার জন্য আসবাবপত্র তৈরী করতেই কাটা হয় রেলের আঙ্গিনায় অবস্থিত গাছগুলি। টি এ ব্রাঞ্চের টিএওএন্ডও মো: আবুল হাসান আখন্দ ও সি আর বি চৌকির সি আই মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠলেও এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। এব্যাপারে গত এপ্রিল মাসের ২ তারিখ চীপ কমান্ড্যান্ট জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আগে থেকেই সি আই মাসুদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে।
সারা দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ যখন পরিবেশ রক্ষায় লাখ লাখ গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে রেলের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা গাছ নিধনে ব্যস্ত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ থাকার পরেও নেওয়া হচ্ছে না যথাযথ কোন আইনি পদক্ষেপ। এর ফলে স্পষ্ট প্রমাণ হয় যে বাংলাদেশের রেলওয়েতে যে কেউ যেকোনো ধরনের অপরাধ করে সহজেই পার পেয়ে যায়। এভাবেই তদারকি ও বিচারহীনতায় সেবামূলক প্রতিষ্ঠান রেলের বিভিন্ন খাত থেকে বিলীন হচ্ছে সরকারি সম্পত্তি। সেই সাথে প্রতিবছর লোকসান গুনতে হচ্ছে শতকোটি টাকা।
সি আই মাসুদুর রহমানের নামে গাছ কাটার অভিযোগ ছাড়াও সিআরবি শিরীষ তলায় ভাসমান দোকান বসিয়ে নিয়মিত চাঁদা আদায় করার অভিযোগ আছে দীর্ঘদিন থেকে। যা রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে চলতি মে মাসের ৫ তারিখ থেকে উচ্ছেদ করা হয়। সব মিলিয়ে সি আই মাসুদুর রহমানের পক্ষে এত সুন্দর অভিযোগ থাকার পরেও কোন অদৃশ্য শক্তির কারণে তাকে এখনো বহাল তবিয়তে রাখা হয়েছে এই প্রশ্ন এখন জনমনে।