অনলাইন ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকায় অপহরণ করা হয়েছিল বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের মাহবুবুর রহমানকে। তার মুক্তিপণ হিসাবে বাংলাদেশে স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে ৭০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। না হলে তাকে মেরে ফেলা হবে। তবে তার আগেই ফাঁদ পেতে সেই অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
৭০ লাখ টাকা দাবি করা হরেও, পরবর্তীতে মুক্তিপণ হিসাবে অপহরণকারীদের সঙ্গে মাহবুবুর রহমানের বাংলাদেশে থাকা স্বজনদের রফা হয় ৩০ লাখ টাকায়। সেই সঙ্গে তার স্বজনরা বিষয়টি র্যাবকেও জানান। র্যাবের একটি সংবাদ বিবরণীতে পুরো ঘটনার বিবরণ দেয়া হয়েছে।
র্যাবের বিবরণী অনুযায়ী, অপহৃত মাহবুবুর রহমানের ভগ্নিপতি সুরুজ জামানকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মোবাইল ফোনে অপহরণকারীরা জানায়, সময় মতো তাকে একটি ফোন নম্বর আর পিন কোড দেয়া হবে। সেখানে যোগাযোগ করলে জানানো হবে যে, কোথায় গিয়ে টাকা দিতে হবে।
গত রবিবার আবার তাদের টেলিফোনে টাকা নিয়ে টাঙ্গাইলে যাওয়ার জন্য বলা হয়। একজনের মোবাইল নম্বর এবং একটি পিন কোড দিয়ে বলা হয় যে এগুলো মিলিয়ে তার কাছে টাকা দিতে হবে।
অপহরণকারীদের নির্দেশমতো ব্যাগে করে ৩০ লাখ টাকা নিয়ে যান সুরুজ জামান। এ সময় তার পেছনেই ছিল র্যাবের সাদা পোশাকের দল।
সুরুজ জামানের কাছ থেকে যখন টাকা বুঝে নিচ্ছিল অপহরণকারীদের সহযোগীরা, র্যাব তখন তাদের আটক করে। রবিবার এই অভিযান চালানো হলেও, দু’দিন পর র্যাব একটি বার্তায় অভিযানের তথ্য জানিয়েছে।
র্যাব বলছে, গ্রেপ্তারকৃত কামাল হোসেন কালুর ছেলে মনির হোসেন দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে। স্থানীয় আরো কয়েকজনের সহযোগিতায় এভাবে তারা আরো অনেক বাংলাদেশিকে আটকে টাকা আদায় করেছে। এ পর্যন্ত ১০/১৫ জনের কাছ থেকে তারা প্রায় কোটি টাকা মুক্তিপণ আদায় করেছে।
এই গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে অপহৃত মাহবুবুর রহমানকে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনের একটি রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় সেখানকার অপহরণকারীরা। তাকে এখন সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।