ঢাকার ধামরাইয়ে রান্নাঘরে গ্যাস জমে বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্তান, স্ত্রী আর স্ত্রীর বোনের পর অগ্নিদগ্ধ মনজুরুল ইসলামও চলে গেলেন। শরীরের ৩৩ শতাংশ পোড়া ক্ষত নিয়ে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন ৩২ বছর বয়সী মনজুরুল।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে ইনিস্টিউটের আবাসিক সার্জন এসএম আইউব হোসেন জানান। চার দিন আগের এ অগ্নি দুর্ঘটনায় এ নিয়ে মোট চারচনের মৃত্যৃ হল; আরও একজন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
শনিবার ভোরে ধামরাইয়ের কুমড়াইল এলাকার কবরস্থান সংলগ্ন দোতলা বাড়ির নিচতলায় পোশাককর্মী মনজুরুল ইসলামের ঘরে গ্যাস জমে বিস্ফোরণ ঘটে।
তাতে মনজুরসহ পাঁচজন দগ্ধ হলে সবাইকে ঢাকায় এনে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
রোববার রাতে মনজুরুলের দুই বছর বয়সী মেয়ে মরিয়মের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ভোরে মারা যান মনজুরুলের স্ত্রী জোসনা বেগম (২৫)। আর জোসনার বোনের মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১৯) মারা যান মঙ্গলবার দুপুরে। জোসনার বড় বোন হোসনে আরা (৩০) এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শরীর ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
শনিবার আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. সুফিয়ান নামের একজন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জোসনা ভোরে রান্নাঘরে গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেলেই বিস্ফোরণ ঘটে, তখন ঘরে আগুন ধরে সেখানে থাকা অন্যরাও দগ্ধ হন।
মনজুরের ঘরে সিলিন্ডারের গ্যাস দিয়ে রান্না হত। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছিল, সিলিন্ডার থেকে চুলার পাইপে কোথাও লিকেজ ছিল, ফলে রাতভর গ্যাস জমে ছিল রান্নাঘরে। ভোরে জোসনা চুলা ধরাতে আগুন জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে।