মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৩ মে প্রাণের জনৈক নারী শ্রমিক বাগপাড়াস্থ প্রাণের কারখানায় কাজ শেষে একই এলাকায় অবস্থিত প্রাণের ম্যাচে (বাসা)য় যাওয়ার সময় জনতা জুনমিল গেইটের পাশে ৬ বন্ধু গণধর্ষণ করে। এসময় তার ভিডিও করে প্রকাশ করে। এ বিষয়ে ঘটনার পরের দিন প্রাণের সহকারী ব্যবস্থাপক এ এস এম সাদেকুল ইসলাম বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এপ্রেক্ষিতে ১২ জন স্বাক্ষীর জবানবন্ধী শেষে ঘটনা প্রমানিত হওয়ায় মঙ্গলবার এই রায় ঘোষনা করেন বিচারক। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো, (১) আশিকুর রহামান (৩৫) পিতা: মো: কদ্দুছ, (২) ইলিয়াছ (২১) পিতা: তাজুল ইসলাম, (৩) রুমিন পিতা: সিরাজ শেখ, (৪) রবিন (২০) পিতা: হানিফা। তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদন্ড ও ১লক্ষ টাকা করে অর্থদন্ড। অপর ২ আসামী আসামী (৫) ইব্রাহিম (২২) পিতা: মন্টু মিয়া এবং (৬) আ: রহমান (২৪) পিতা: ছালাম মিয়াকে মৃত্যুদন্ডসহ ১লক্ষ টাকা এবং পর্নোগ্রাফী আইনে নিন্মোক্ত ২ জনকে অতিরিক্ত ২লক্ষ টাকা করে অর্থদন্ড দিয়েছের বিচারক। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি পলাশ উপজেলার বাগপাড়া এরাকায়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন রিনা দেবনাথ, কানিজ ফাতেমা ও এ এম এন অলিউল্লাহ। অপরদিকেত আসামী পক্ষের আইনজীবি হিসেবে মামলা পরিচালনা করেন এড. এম আউয়াল ভূইয়া, মাহমুদুল হক মিঠু ও আতিুকুল ইসলাম দোলন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এড. কানিজ ফাতেমা বলেন, আমারা ন্যায় বিচার পেয়েছি এবং তা যেন দ্রæত কার্যকরা করা হয় সেই দাবী জানাচ্ছি।
অপরদিকে আসামী পক্ষের আইনজীবি আতিকুল ইসলাম দোলন বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি, এটি একটি সাজানো মামলা এবং সকলেই প্রাণের নিজস্ব বানানো স্বাক্ষী।