প্রধান বক্তার ভাষণে হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বলেন, মানুষ হিসেবে প্রতিটি মানুষকে তার পরিবার, তার সমাজ, তার রাষ্ট্র এবং সমগ্র পৃথিবী নিয়ে ভাবতে হবে। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে পৃথিবী একটা গ্রামে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও কোন ঘটনা ঘটলে এর প্রভাব সব দেশের উপরেই কম-বেশি পড়ে। সম্প্রতি ধর্মের নামে সৃষ্ট বিভিন্ন উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলোর কর্মকাÐে বিশ্বজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ আতঙ্ক এবং ইসলামের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ। এর পেছনে প্রকৃতপক্ষে সা¤্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো কাজ করে যাচ্ছে। তারা চায় আল্লাহ-রসুলের বিরুদ্ধে অপবাদ, অপপ্রচার করে মুসলমানদেরকে উত্তেজিত করে মুসলমানদেরকে ক্ষেপিয়ে তুলে তাদেরকে দিয়ে ধ্বংসাত্মক কর্মকাÐ পরিচালনা করতে। যাতে তারা প্রমাণ করতে পারে যে মুসলমানরা উগ্র, মুসলমানরা সন্ত্রাসী। তারা চায় মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে ভয়ানক অস্ত্র নিয়ে হামলার বৈধতা আদায় করতে। সুতরাং তাদের পাতা এ ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।
আমাদেরকে বুঝতে হবে ইসলাম সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না। একশ্রেণির ধর্মব্যবসায়ীদের বিতর্কিত ব্যাখ্যার সুযোগে কিছু বিভ্রান্ত মানুষ ইসলামের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। এদেরকেই আবার মদদ দিয়ে বড় করে তুলছে ঐ
প্রধান অতিথি খন্দকার হাসান উল সানী এলিছ তার বক্তব্যে হেযবুত তওহীদের কার্যক্রমকে ধন্যবাদ জানিয়ে পুটিয়া ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। তেলাওয়াত করেন জনাব রমজান আলী। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ জনাব মেজবাহ উদ্দিন সরকার, শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মো. মনির হোসেন, ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. রতন মিয়া, ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও যুগ্ম আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সভাপতি আব্দুল হান্নান সরকার, ঢাকা মহানগর হেযবুত তওহীদের সভাপতি মো. আলী হোসেনসহ আরো অনেকে।