ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় নিউজিল্যান্ড। এ সময় দলীয় ৩১ রানে মার্টিন গুপ্টিলকে সাজঘরে ফেরান মুস্তাফিজ। এরপর তাসকিন ও সাকিব নিউজিল্যান্ডের দুই উইকেট নিলে মাঠে নামেন ব্লাকক্যাপার্সদের মিডেল অর্ডার ব্যাটসম্যান কলিন মুনরো। ওপেনিংয়ে ব্যাট শুরু করা টম ল্যাথাম ও মুনোর জুটির কাছেই মূলত হেরে যায় বাংলাদেশ। এই জুটির ঝড়ো পার্টনারশিপ থেকে ১০৭ বলে ১৫৮ রান আসে। এখানেই পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ। সাকিব ও মুস্তাফিজ এই জুটিকে পরাস্ত করার পর অবশ্য আর বেশি এগোয়নি নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। কিন্তু ততক্ষণে ব্লাকক্যাপার্সদের নামের পাশে যোগ হয়ে গেছে ৩০০ রানের বেশি। শেষ সময়ে ব্যাটে এসে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা আর বেশি রান তুলতে সক্ষম না হওয়ায় ৩৪১ রানে থামে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।
এর জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বল নষ্ট করে ও উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৪৮ রানে সৌম্য ও মাহমুদুল্লাহ একই সঙ্গে বিদায় নিলে সেখানেই শেষ হয়ে যায় জয়ের আশা। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশকে ম্যাচে ধরে রাখেন সাকিব ও মুশফিক। ৬ এর উপর রান রেট রেখে ৫৭ বলে ৬৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তারা। বাজে শট খেলতে গিয়ে সাকিব বিদায় নিলে আবারো যাওয়া আসার মিছিলে মেতে ওঠে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা। শেষ সময়ে মুশফিক ও মোসাদ্দেক জুটি ৫২ রান যোগ করে আবারো আশা জাগাচ্ছিল। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল না বাংলাদেশের। পেশিতে টান লেগে এ সময় মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন মুশফিক। ৪৪ বলে অপরাজিত ৫০ রান করা মোসাদ্দেক শেষ পর্যন্ত লড়াই করলেই তার সঙ্গী হিসেবে পাশে ছিল না কেউ। ফলে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ২৬৪ রানে। ইএসপিএন ক্রিকইনফো।