নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের আল-আমিন গার্ডেনে শনিবার সকাল ৯ টায় ডব্লিউবিবি ট্রাষ্ট, গ্রীন মাইন্ড সোসাইটি, প্রদেশ এবং স্বপ্নের সিড়ি সমাজ কল্যান সংস্থার যৌথ উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গ্রীন মাইন্ড সোসাইটির সভাপতি আমির হাসান মাসুদ এর সভাপতিতে উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম – ডিপিএম (ইপিআই এন্ড সার্ভিল্যান্স), ডিজিএইসএস, ৫৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মোঃ নূরে আলম, ডব্লিউবিবি ট্রাষ্ট এর প্রকল্প কর্মকর্তা শুভ কর্মকার, প্রদেশ এর নির্বাহী পরিচালক অনাদি কুমার মন্ডল, ডিইডি ইউসুফ আলী, স্বপ্নের সিড়ি সমাজ কল্যান সংস্থার নির্বাহী পরিচালক, উম্মে সালমা, সহ-সভাপতি ইসরাত জাহান, অডিট অধিদপ্তরের অডিটর শামীম আল মামুন, এলআরবি ফাউন্ডেশন’র নির্বাহী পরিচালক রাজিয়া সুলতানা, আইনজীবী মাহবুবুল আলম প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, তামাকের কারণে অকালমৃত্যু রোধে প্রয়োজন তামাজাত দ্রব্যের মোড়কে স্বাস্থ্য সর্তকবানী। তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান করা হলে তামাকের স্বাস্থ্যক্ষতির বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও তামাকের ব্যবহার কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। আর্ন্তজাতিক অভিজ্ঞতা অনুসারে তামাকের ব্যবহার কমাতে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তামাক কোম্পানিগুলোর বিভ্রান্তিকর প্রচারণা এবং নানা অপকৌশলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। আমরা আশাবাদী সরকার আইন অনুসারে স্বাস্থ্যসর্তকবাণী প্রদাণের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যহত রাখতে অটল থাকবে । তামাকের কারণে অকালমৃত্যু রোধে প্রয়োজন তামাজাত দ্রব্যের মোড়কে স্বাস্থ্য সর্তকবানী।
বক্তারা আরো বলেন, ২০১৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন ও ২০১৫ সালে বিধিমালা পাস হওয়ার পর মানুষের মধ্যে আইন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম গতিশীলকরণে প্রয়োজন সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবানী। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে শক্তিশালী করে সরকার জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে যে ধরনের দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালন করেছে জনগনের প্রত্যাশা আগামী ১৯ মার্চ ২০১৬, এর মধ্যে অবশ্যই সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবানী প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে তার ধারা অব্যহত রাখবে ।