সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সংগলশী দীঘলডাঙ্গী গ্রামের আব্দুল মজিদের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল ও তার সহযোগী মাসুদ চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে সহজ সরল মানুষদের কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।
সূত্রে জানা যায়, দীঘলডাঙ্গী গ্রামের আব্দুল মজিদের পুত্র সুচতুর জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল এলাকার গরীব অসহায় মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সন্তোষ কুমার রায়, শ্যামল চন্দ্র রায় ও রাম সুন্দর এদের তিনজনের পুত্রদের ফায়ার সার্ভিসে, রঞ্জন কুমার রায়কে বন বিভাগে, জগদীশ চন্দ্র শিলকে প্রথমে ঢাকার ড্রিমল্যান্ড প্রাইভেট ব্যাংকে পরবর্তীতে খাদ্য অধিদপ্তরের দারোয়ান পদে চাকরীর প্রলোভন দেখায়। সন্তোষ ও শ্যামলের কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা করে, রামসুন্দরের ৪ লক্ষ টাকা, জগদীশ চন্দ্র শিলের ১ লক্ষ ৭০ হাজার, রঞ্জন কুমার রায়ের ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যায়ক্রমে কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে উধাও রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। সহযোগী রংপুর গুপ্তপাড়ার মৃত মনসুর আলীর পুত্র মাসুদুর রহমান মাসুদকে সঙ্গে নিয়ে জুয়েল গ্রামের মানুষদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয় আমার বন্ধু অনেক ক্ষমতার অধিকারী। যেকোন সমস্যার সমাধান, চাকরী সহজেই দিতে পারে। জুয়েলের বাবা আব্দুল মজিদ ও ভাই আসাদুজ্জামান ডলার মাস্টার (ছাত্রী ধর্ষণসহ কুকর্মের হোতা) এর কাছে এসব প্রতারিত ব্যক্তিরা বিষয়টির সত্যতা জানতে চাইলে তারাও আশ্বস্ত করে বলে, মাসুদ বাইরের লোক হলেও আমরাতো এই গ্রামের লোক তোমাদের চিন্তা করার কিছু নাই। কয়েকদিন পরে জুয়েল রংপুরে ১৫ হাজার বিকাশে ৯০ হাজার, প্রত্যেককে ঢাকায় নিয়ে পরীক্ষার নাম করে ৯ লক্ষ, তার কিছুদিন রে জুয়েলের বাবা আব্দুল মজিদ এদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় তেজগাঁওর রয়েল বডিংয়ে মৌখিক পরীক্ষার কথা বলে ২ লক্ষ টাকা, নিয়োগপত্র দেওয়ার নামে ৬ লক্ষ, জগদীশ এর কাছে প্রথমে ব্যাংকের নামে ৫০ হাজার পরে খাদ্য অধিদপ্তরের নিয়োগের কথা বলে ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ১৪ সারের অক্টোবর মাস থেকে পর্যায়ক্রমে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দেয় প্রতারক জুয়েল ও তার সহযোগী মাসুদ। এই ব্যাপারে জুয়েলের বাবা ও ভাই ডলার মাস্টারকে বারবার তাগিদ দিলে তারা এ বিষয়টি এড়িয়ে যায়। উল্টো ছেলে ও ভাইকে গুম করার মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়।
একটি গোপন সূত্রে জানা যায়, জুয়েল ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট তৈরী করছে গোপনে। তাই প্রতারিত অসহায় ব্যক্তিরা জুয়েল, মাসুদসহ ভাই-বাবাকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করেন প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।