নিহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় তাৎণিকভাবে জানা না গেলেও তাঁদের সকলের বয়স ১৮ থেকে ২২ বছরের মধ্যে হবে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সৈয়দপুর থানার ওসি শাহাজাহান পাশা বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি নীলফামারী সদরের ভবানীগঞ্জহাট এলাকার একদল তরুণ ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে রবিবার সকালে পিকআপ (নীলফামারী-ন-১১-০০০৭) ভাড়া করে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে সর্বশেষ দিনাজপুরের স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পটে যায়। সেখান হতে তারা নিজ এলাকায় ফিরছিল। পথে রাত সোয়া ১০টার দিকে সৈয়দপুরের বাইপাস সড়কে ধলাগাছ এলাকায় বিপরিদমুখী দূরপাল্লার একটি ঢাকাগামী কোচ ওই পিকআপটির সাইডের ডালায় ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই আট জন ও হাসপাতালে নেয়ার পথে একজন সহ ৯জন নিহত হয়। তবে কোচটি পালিয়ে যায়।
ওসি জানান, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আটজনের লাশ উদ্ধার করে। একজনের মরদেহ সৈয়দপুর হাসপাতালে রয়েছে। আহত ১২ জনকে সৈয়দপুর সরকারি ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বজলুর রশিদ ৯জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল জানান তিনি উপস্থিত থেকে মরদেহ গুলো উদ্ধার করে সৈয়দপুর থানায় নিয়েছেন।
এদিকে ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোকসেদুল মোমিন।