সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ সৈয়দপুর উত্তরা আবাসন প্রকল্পের একটি বাসা থেকে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার অচেনা যুবকের বৈঠকের তথ্য পেয়ে ৬ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের ব্যবহারকৃত নম্বরবিহীন দু’টি মোটর সাইকেলও জব্দ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবাসনের ২৯/১০ নম্বর বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হল সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব বোতলাগাড়ীর বাফাজ উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৫) একই এলাকার আবু জাফর ওরফে ভুট্টু (২০) রংপুর মুন্সিপাড়া এলাকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে রাসেল (২৪) ঢাকার স্বর্ণ কুন্ডু মোহাম্মদিয়া হাউজিং লিমিটেড এলাকার মৃত আমান উল্লাহ চৌধুরীর ছেলে নুরুল হক চৌধুরী (৩০) তারাগঞ্জ উপজেলা শেরমস্ত এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে শাহিন (২৬) ও নীলফামারীর নাজমুল (৩১) এসময় তাদের ব্যবহৃত নম্বরবিহীন এপাচী ও বাজাজ ১০০ সিসি দু’টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় একটি সূত্র আবাসন এলাকার ২৯/১০ নম্বর বাসায় অপরিচিত একদল যুবক বৈঠক করছে। সংবাদ পেয়ে তড়িৎ গতিতে ঘটনাস্থল উপস্থিত হয় থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাইল সহ সঙ্গী পুলিশ ফোর্স। সেই বাসায় অভিযান চালিয়ে গাঁজা, হেরোইন ও ইয়াবা সেবন করা অবস্থায় ৬ যুবককে আটক করে স্থানীয় থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। ওই রাতে আটককৃত যুবকদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গতকাল শুক্রবার সকালে ১৩০ গ্রাম গাঁজা, ২ পুড়িয়া হেরোইন, ইয়াবা ৩টি, ফেনসিডিলের অসংখ্য খালি বোতল সহ তাদের নীলফামারী জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
উত্তরা আবাসন প্রকল্পবাসী জানায়, আবাসন প্রকল্পের ২৯/১০ নম্বর বাসার মালিক নুর বাবু তার বাসা থেকে নিয়মিত গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবা সহ ডলারের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এ কারনে তার বাসায় প্রায় প্রতিদিনই আগমন ঘটতো উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার অপরিচিত যুবকদের। ঘটনার দিনও তার বাসায় অপরিচিত যুবকের আগমন ঘটায় পুলিশ হানা দিয়ে ৬ যুবককে আটক করেছে। কিন্তু মূল হোতা নুর বাবুকে আটক করতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে কথা হয় থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাইল হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, মাদক দ্রব্য সেবনকালে ওইসব যুবকদের আটক করা হয়েছে। তবে আটককৃত যুবকগুলি বড় ধরনের অপরাধ কর্মের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে। প্রমান মিললেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।