নেত্রকোনায় দৈনিক বজ্রশক্তি’র জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক, নেত্রকোনা: নেত্রকোণা জেলার মধ্য নাগড়া ‘দৈনিক বজ্রশক্তি’ পত্রিকা জেলা কার্যালয়ে গতকাল রবিবার সাংবাদিক নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মলাশায় নেত্রকোণা হেযবুত তওহীদের জেলা আমির মো. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান মো. মফিজ উদ্দিন। হেযবুত তওহীদের নেত্রকোণা সদর থানার আমীর মো. আব্দুল কাইয়ুম, দৈনিক বজ্রশক্তি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মো. মোফাজ্জল হোসেন খান টুকন। ধর্মপাশা থানা প্রতিনিধি সেলিম আহমেদ, আরও উপস্থিত ছিলেন সওদাগর রনি, সুজন হাওলাদার, আব্দুল হাই হীরা, সাদেকুর রহমান ও প্রমুখ। প্রধান অতিথি মো. মফিজ উদ্দিন বলেন সকল অন্যায় অত্যাচার অবিচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে সত্য নিষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপন করা একজন সাংবাদিকের সামাজিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব। সমাজে মানুষের কথা চিন্তা করে দেশের কথা চিন্তা করে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে হবে। তাই সমাজে মানুষের চিন্তার জগতে পরিবর্তন ও সকল মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আমাদের কাজ করেতে হবে। জঙ্গিবাদ এক মারাত্মক খেলা। মুসলমান নামক জাতিটিকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য জঙ্গিবাদ এক কার্যকরী মাধ্যম হয়ে দাড়িঁয়েছে। যে ব্যক্তি নিজেকে মুসলমান বলে দাবি করবে তাকে অবশ্যই এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। কোনাভাবেই জঙ্গিবাদের ফাঁদে পা ফেলা যাবে না। জাতিকে এর বিরুদ্ধে সর্বাবস্থায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জঙ্গি নাই , জঙ্গি নাই বললেই সাম্রাজ্যবাদী শক্তি মানবে না। টুইন টাওয়ারে কে হামলা করেছিল তা নিয়ে বির্তক আছে। কিন্তু সেই অজুহাতে আফগানিস্তানকে যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ উপহার দেওয়া হলো তা বিভীষিকা ভোগ করতে হয়েছে আফগান জনগনকেই। সাদ্দামের ইরাক ও দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। পশ্চিমারা বলল ইরাকে ভয়ানক মারণাস্ত্র আছে, সাদ্দাম বলল না ভাই নাই। তারা বলল-অব্যশই আছে। আমাদের কাছে তথ্য আছে। কেউ সাদ্দাম হোসেনের কথা বিশ্বাস করল না। ইরাক আক্রান্ত হলো। ধ্বংস হলো। দশ লক্ষ মুসলমান প্রাণ হারালো। হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হলো। মসজিদ-মাদ্রাসা-মাজার ধবংস হলো। তারপর একদিন হোয়াইট হাউজ থেকে ঘোষনা এল, আমাদের গোয়েন্দা রির্পোটে ভুল ছিল, ইরাক আক্রমন ভুল ছিল ইত্যাদি। তাদের ভুলের কোন বিচার নাই। কারন তারা শাসক। তারা এমন ভুল ইচ্ছা করলে আরও করতে পারে। কিন্তু আমাদেরকে ভুল করলে চলবে না। আমাদেরকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে। পৃথিবীর বাস্তবতাকে উপলব্দি করতে হবে। সিরিয়ার জনগণের মতো আমরাও যদি জাতীয় সঙ্কটকে নিছক সরকারী ব্যাপার-স্যাপার ভেবে নিশ্চিন্তে বসে থাকি, তাহলে সেদিন বেশি দুওে নয় যেদিন আমাদেরকে ও ঘর হারিয়ে পথেঘাটে জীবনযাপন করতে হবে, শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিতে হবে। আজকে যে মুর্হূতে আমি এখানে কথা বলছি তখন সিরিয়ার মাটিতে ভয়াবহ বিশ্বযুদ্ধের দামামা বাজছে। সেখানে একদিকে রাশিয়া তার প্রতিরোধ্য আর্মি নিয়ে হাজির হয়েছে, অন্যদিকে হাজির হয়েছে ইরান, ফ্রান্স, আমেরিকা, ব্রিটেন, সৌদি আরব। ১৬০০০ পারমাণবিক বোমা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে মানুষকে মারার জন্য। ১৯৪৫ সালে মাত্র দুইটি বোমার আঘাতে কী হয়েছিল তা আপনারা সকলেই জানেন।সুপার পাওয়ার জাপান দুইটি বোমার আঘাত সহ্য করতে পারেনি। কিন্তু এবার বিশ্বযুদ্ধ বেধে গেলে সারা পৃথিবীকে হাজার হাজার পারমাণবিক বোমার আঘাত হজম করতে হবে। এত বড় বড় বোমা হজম করার শক্তি আমাদের নেই, এত অত্র বহন করার সাধ্য আমাদের নেই । তাই আমাদের বাচাঁর জন্য হলেও আজ সত্যেও পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, হকের পক্ষে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং সমাজের সাধারন মানুষকে বুঝাতে হবে আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থপর হতে পারবে না । সমাজের সবাই যদি এরক
ম হয় তাহলে সমাজে শান্তি আসবে না ।

 

Comments (0)
Add Comment